লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে য়ায়- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার,
লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন কেউ যখন মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, তখন লজ্জায় নত হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেছেন, এই কাজেই বোঝায় যায় এই নির্মম হত্যাযজ্ঞে কারা জড়িত।
বৃহস্পতিবার খামারবাড়িতে এক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখলিছেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে ঘিরে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে যেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, সেই ১৫ আগস্ট, কেউ আবার মিথ্যা জন্মদিন পালন করে। ঘটা করে জন্মদিনেই বোঝা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত।’
‘আমি অনেক দেশি যাই। যারা আমাকে চেনেন তারা পথের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা সেই দেশের লোক যে দেশের মানুষ জাতির পিতাকে হত্যা করে। লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে যায়। তবে বলে আসতে পারি, আমরা তাদের ক্ষমা করিনি।’
এটা স্পষ্ট যে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে কথাটি বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৯৯০ দশক থেকে এই দিনে বিএনপি প্রধান ঘটা করে তার জন্মদিন পালন শুরু করেন। যদিও এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার কার্ালয় থেকে অন্য একটি তারিখকে জন্মদিন হিসেবে জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া তার বিয়ের কাবিন, মেট্রিকের সনদ, পাসপোর্টে অন্য তারিখের কথা উল্লেখ আছে।
আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন উল্লাস প্রকাশে এই দিন মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন খালেদা জিয়া। এর মাধ্যমে তিনি আসলে খুনিদের প্রতি সহমর্মিতা জানান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেন। খুনিদের বিচার করা যাবে না- এই মর্মে জারি করা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স সংসদে পাসও হয় তার আমলেই। আবার খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্টের নির্বাচনে খুনি ফারুক রহমানকে সংসদ সদস্য করিয়ে আনেন।
অবশ্য সমালোচনার মুখে ২০১৭ সাল থেকে ১৫ আগস্ট আর জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা পালন না করে সেদিন মোনাজাত করে আসছিল বিএনপি। তবে এবার সেটাও করা হয়নি। মোনাজাত একদিন পিছিয়ে করা হয় ১৬ আগস্ট।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছেন তাদের কেউ ক্ষমা করেনি। আমরা হত্যাকারীদের দেশে দেশের বাহিরে থেকে খুঁজে খুঁজে এনে ফাঁসির কাস্টডিতে তুলেছি। তারা কখনো ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য না।