বিএসএমএমইউ’র ৩৭২ বধির শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি সম্পন্ন
লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৩৭২ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন করা হয়েছে। যাদের অনেকেই ইতিমধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। অনেক শিশুদের কথা শেখানোর মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট রিহেবিলিটেশন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন নাক কান গলা বিভাগের চেযারম্যান প্রফেসর ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, ভারতের ভাষা শেখানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বাহিসটাই জামশেদ ডাবু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নাক কান গলা বিভাগের প্রফেসর ডা. নাসিমা আখতার।
ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। নতুন নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠত হয়েছে। জটিল রোগের সফল চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারির মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে করা সম্ভব হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর গড়ে ১০০ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। এ অবস্থায় কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করাদের সত্যিকার অর্থেই পুনবার্সন করতে বা পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে একটি ‘স্পিচ হিয়ারিং এন্ড ব্যালেন্স সেন্টার বা ইনস্টিটিউট’ চালু করা প্রয়োজন।