বৃষ্টিও থামাতে পারেনি আফগানদের

স্পোর্টস ডেস্ক / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

মুলতান টেস্ট এখন পোড়ায় বাংলাদেশকে। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছিল সেসময়কার টেস্টের কনিষ্ঠ সদস্য দলটিকে। ১৬ বছর প্রায় একই রকম পরিস্থিতির মুখে ছিল আফগানিস্তান। যদিও প্রধান প্রতিপক্ষটা ছিল বৃষ্টি। পিচের কন্ডিশনটাও অনুকূলেই ছিল। চট্টগ্রামের স্পিন সহায়ক উইকেটে ব্যাট হাতে যেমনটা দাপট দেখিয়েছে সফরকারীরা। অন্যদিকে বল হাতেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রাখে রশিদ খান নেতৃত্বাধীন দলটি। পঞ্চম ও শেষ দিনে দরকার মাত্র চারটি উইকেট। ৩৯৮ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৫২ রান।

আগের দিন বৃষ্টির কারণে দিন শেষ হয় তাড়াতাড়ি। এর তাই সোমবার সকালে সাড়ে নয়টায় মাঠে নামার কথা ছিল দুই দলের। আবারও বৃষ্টি। ম্যাচ শুরু হলো দুপুর একটায়। যদিও মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় আবার বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছিল আফগানদের। তবে শেষ বিকেলে বৃষ্টি কমলে আরও ১৯ ওভার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেই নিলো আফগানরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২২৪ রানে বিশাল জয় পেয়েছে দলটি।
এদিন দুটি সেশন খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দুপুর ১টায় মাঠে নামলেও থেকে ৩টা ১০ মিনিট পর্যন্ত প্রথম সেশন। এর পর ২০ মিনিটের চা বিরতি। আর সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দ্বিতীয় সেশন হবার ছিল। মোট ৬৩ ওভার খেলা চালানোর ইচ্ছা ছিল দায়িত্বরতদের। যদিও প্রথম সেশনে ২.১ ওভার বল করতে পেরেছে আফগানরা। আর এই ১৩ বলে ৭ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর খেলা আবারও শুরু হয়। বিকেল চারটা ২০ মিনিটের দিকে ভাঙা ওভার শেষ করতে বল তুলে দেয়া হয় জহির খানের হাতে।

প্রথম বলেই উইকেট রক্ষক আফসার জাজাইয়ের বলে বিদায় নেন সাকিব। ৫৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। একেবারে শেষে ৫৯ বল খেলে ১৫ রান করেন সৌম্য সরকার।

এদিকে ৮ বলে ১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন নাঈম হাসান।সব মিলিয়ে শেষ ইনিংসে ৬১.৪ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে দলের হয়ে ৬টি উইকেট তুলে নেন রশিদ খান। জহির খান তুলেছেন তিনটি উইকেট। এছাড়া একটি উইকেট তুলে নেন টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানো মোহাম্মদ নবী।

টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক হিসেবে এই ম্যাচ দিয়েই অভিষেক হয় রশিদের। পুরো ম্যাচে ব্যাট-বলে ছিলেন দুর্দান্ত। দুই ইনিংসে ১১ (৫+৬) উইকেট তোলার পাশাপাশি তুলেছেন ৭৫ রান (৫১+২৪)। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন অধিনায়ক নিজেই

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *