রোকেয়া হলে নিয়োগ বাণিজ্য ও পরীক্ষা ছাড়া ভর্তির সঙ্গে জড়িতদের পদত্যাগ দাবি বামজোটের
শাহ নেওয়াজ, ঢাবি করেসপনডেন্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় উপাচার্যের চিরকুট ও ব্যবসায় অনুষদের ডিনের সহায়তায় পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগের ৩৪ নেতার ভর্তি হওয়া এবং সম্প্রতি বেগম রোকেয়া হলে ঘটা নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনার সঙ্গে প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদাসহ জড়িতদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল বামজোট।
বুধবার দুপুর একটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সঞ্জীব চত্বরে একটি সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানায় প্রগতিশীল বামজোটের নেতৃবৃন্দ।
রোকেয়া হলে নিয়োগ বাণিজ্য ও ডাকসুর নির্বাচনের সময় পরীক্ষা ছাড়া ভর্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে চারটি দাবি জানান জোটের নেতৃবৃন্দ। দাবিগুলো হলো- রোকেয়া হলের নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত হল প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদাসহ হল সংসদের ভিপি জিএসের পদত্যাগ এবং পরীক্ষা ছাড়া উপাচার্যের চিরকুট ও ডিনের সহায়তায় অবৈধভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় অভিযুক্ত বিশ্বিবদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগ।
এছাড়া বামজোটের নেতাকর্মীরা পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি হওয়া আট ডাকসু নেতা ও নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত মোট দশ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলেরও দাবি জানান।
দাবিগুলো সামনে রেখে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘গানের মিছিল’ এবং আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে ‘দুর্নীতির ভূত তাড়ানো’ শীর্ষক অনুষ্ঠান পালনের ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাগিব নাঈম।
রোকেয়া হলের নিয়োগ বাণিজ্যে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী শ্রবনা শফিক দীপ্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সালমান, বামজোটের কর্মী মীম আরাফাত মানব ও এসময় উপস্থিত ছিলেন।