এমপিওভুক্তির প্রজ্ঞাপন অক্টোবরে !

লোপা রাকিব /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহুল আলোচিত ও কাঙ্ক্ষিত এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে আগামী মাসেই জারি হচ্ছে। বর্তমানে তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। বিশেষ করে তালিকায় কতগুলো স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থান পাবে তা নিয়ে টানাপোড়েন রয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। সবমিলিয়ে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই জারি হতে পারে বহুল কাঙিক্ষত প্রজ্ঞাপন।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলেই এ ব্যাপারে সর্বশেষ জটিলতাও কাটবে এবং এরপরই প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তখন প্রজ্ঞাপন জারি করতে আর কোনো বাধাই থাকবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ) শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকার ঘষা-মাজা শেষ হয়েছে। তবে তালিকায় কতগুলো স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থান পাবে তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।

সূত্র জানায়, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার শর্তেই এমপিওভুক্ত করা হবে বেসরকারি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে আগামী তিন বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে এক হাজার ৭৬৩টি স্কুল ও কলেজ এ তালিকায় স্থান পেতে পারে। মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। তবে এর সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। অস্থায়ী অনুমোদন বা তালিকায় স্থান পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া শর্ত যথাযথভাবে পূরণে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির সুবিধা বাতিল করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ধরন অনুসারে আলাদা আলাদা পরিপত্র জারি করা হবে। নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আলাদা আলাদা পরিপত্র জারি হতে পারে। একই পরিপত্রে সব প্রতিষ্ঠানে অনুমোদন দেয়া হলে নানা জটিলতার সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। জটিলতা এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

ঈদুল আজহার পর গত ১৪ আগস্ট শর্ত পূরণ করা প্রায় দুই হাজার ৭০০ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল বলে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এমপিওর জন্য প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। কিন্ত সে তালিকা দফায় দফায় ফেরত আসছে এবং বারবার সংশোধন করা হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন যে দিনই জারি হোক, তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা গত ১ জুলাই থেকেই এমপিওর সুবিধা পাবেন।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *