তথ্য অধিকার আইনে ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে : প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র রিপোর্টার/লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এক বাণীতে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় সুবিধাদি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, তথ্য অধিকার আইনের আওতায় সুবিধাদি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে।’

আগামীকাল ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া বাণীতে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় ৫ হাজার ২৮৬টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার মাধ্যমে তথ্যসেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আজ আর স¦প্ন নয়, বাস্তবতা।’
‘আমরা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতায়নে তথ্য একটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। জনগণের এ অধিকারকে সম্মান দিয়ে নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ এবং এর আওতায় তথ্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। যার ফলে জনগণ ও গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণমধ্যমের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দেই। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ করেছি এবং ইতোমধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ আরও কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’

তিনি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরও বিস্তৃত করতে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং সংসদ টেলিভিশনের পাশাপাশি ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং ২৮টি এফএম বেতার কেন্দ্র এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে। সংসদ টেলিভিশন চালুর ফলে গণমানুষের কাছে সংসদের কার্যক্রম সরাসরি পৌঁছানো সহজ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৪৫ হাজারেরও বেশি অফিসের তথ্য সংবলিত বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন চালু করেছে। জেলা শহরগুলোর মধ্যে ৯৯ শতাংশ শহর ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।
এখন ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম-এর মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় ২৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবার বিস্তৃতি ঘটানো হয়েছে।

‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘তথ্য সবার অধিকার, থাকবে না কেউ পেছনে আর’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার ২০১৯’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *