রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর চার দফা প্রস্তাব

কূটনীতিক প্রতিবেদক/লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকী উল্লেখ করে এর স্থায়ী সমাধানের লক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ৭৪ তম অধিবেশনে চার দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে হবে। প্রদত্ত ভাষণের প্রথম প্রস্তাবে এ কথা বলেন তিনি। নাইজেরিয়ার টিজানি মুহাম্মাদ-বান্দে জাতিসংঘের ৭৪ তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বারের মত এবারেও বাংলায় ভাষণ দেন।

এই বছরের সাধারণ বিতর্কের বিষয়বস্তু হল-দারিদ্র্য বিমোচন, মানসম্মত শিক্ষা, জলবায়ু কর্মসূচি এবং অন্তর্ভূক্তিকরণে বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টার উজ্জীবন।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বিলোপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের আয়োজন করতে হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর শেষ প্রস্তাবে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণসমূহ বিবেচনায় আনতে হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২ তম অধিবেশনেও প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাব করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমি এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং রাখাইন প্রদেশে বেসামরিক তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ-দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলাম।

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাস্তবিকপক্ষেই দুঃখজনক যে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান না হওয়ায় আজ এই মহান সভায় এ বিষয়টি আমাকে পুনরায় উত্থাপন করতে হচ্ছে। ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের আশ্রয়ে রয়েছে। যারা হত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *