ক্লাব পরিচালনায় উপায় খোঁজার তাগিদ বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের
স্পোর্টস ডেস্ক /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
এক সময়ে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতেন পোড় খাওয়া ক্রীড়া সংগঠকরা। স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে দল চালানোর উদাহরণ কম নেই। সেই সব দিন পেছনে পড়েছে সেই কবে। এসেছে টাকার স্রোত, নতুন ধরনের সংগঠক। কিন্তু তাতে ভেঙে পড়ার যোগাড় ঢাকা তথা দেশের খেলাধুলা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, ক্লাব পরিচালনার জন্য উপায় খোঁজার তাগিদ দিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান।
ঢাকার কয়েকটি ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর পর পরিষ্কার একটা চিত্র পাওয়া গেছে। ক্লাবের অভ্যন্তরে খেলার কোনো সামগ্রী নেই। নেই কোনো খেলোয়াড়। গড়ে উঠেছে ক্যাসিনো। আছেন জুয়াড়ী। এখান থেকে উত্তরণের জন্য সবাই মিলে বসা উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন নাজমুল হাসান।
“এই ক্লাবগুলো কিভাবে চালানো হবে, আমার পক্ষে এই মন্তব্য করা কঠিন। তাও মনে হয়, সময় এসেছে সবাই মিলে চিন্তা করার, এই ক্লাবগুলো পরিচালিত হবে কিভাবে।”
ক্লাব পরিচালনা ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু নেই নির্দিষ্ট আয়। স্পন্সর থেকে আসে সামান্যই। বিসিবি প্রধান দেখছেন কঠিন চ্যালেঞ্জ।
“আসলে ক্লাব চালানো এখন কঠিন। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। আপনি যদি একটা ক্লাব চালাতে যান, ফুটবলে বছরে ৬/৭ কোটি টাকা লাগে বলে আমি শুনেছি। ক্রিকেটে ৪/৫ কোটি টাকা লাগে। এটা কিন্তু অনেক টাকা। আগে কিন্তু এই জিনিসটা ছিল না।”
“আগে খেলোয়াড়রা খেলতো বিনা পয়সায় বলতে গেলে। আপনি আকরাম খানদের সময়ের কথা চিন্তা করেন, আর এখনকার সময়ের কথা চিন্তা করেন। পর্যাপ্ত খেলোয়াড় যদি না থাকে ওদের নিয়ে টানাটানি হবেই। এবং ওদের রেট বাড়তেই থাকবে। বিদেশি খেলোয়াড়ের আধিক্য বাড়ছে, খরচ বাড়ছে।”
ক্লাবগুলো ছিল মহল্লা কেন্দ্রীক। দল পরিচালনার টাকা উঠে আসতো পাড়া-মহল্লা থেকেই। এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এখন ক্লাব চলবে কি করে, প্রশ্ন নাজমুল হাসানের।
“ফান্ড আসবে কোথা থেকে? আগে যেমন স্পন্সর ছিল, পাড়ায় মুরুব্বিদের কাছে গেলে টাকা পাওয়া যেত, উনারাই চালাতেন। যা দিতেন তা দিয়ে আমরা ক্লাব চালাতে পারতাম।…আমি বলছি বহু আগের কথা।”
“তখন টাকাটা খেলায় মূল ব্যাপার ছিল না। কিন্তু এখন টাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। আর বেশ কিছু ক্লাব অনেক টাকা খরচ করে দল বানাতে পারে, সে জন্য প্রতিযোগিতায় এখন টিকে থাকা তো অনেক কঠিন। অনেক কঠিন।”