সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিরিয়ার পক্ষে লেখায় ১২১ তুর্কি আটক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর অভিযানের সমালোচনা করায় ১২১ জন তুর্কি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির সরকার। তুরষ্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সোইলু শুক্রবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এপি’র।সোলাইমান সোইলু জানান, তুর্কি বাহিনীকে অনুপ্রবেশকারী বলে গালি দেয়ার কারণে ৫০০ এর বেশি নেটিজেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তারা শান্তিপ্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এই অভিযানের সমালোচনা করে সরকারকে অপমানিত করেছে। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে তুর্কি সেনাবাহিনী সিরিয়ান কুর্দিশ প্রোটেকশন ইউনিস(ওয়াইপিজি) এর সাথে যুদ্ধ করছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এই অভিযানের ব্যাপারে দাবি করেন, সিরিয়ার সীমান্তে কুর্দি বিদ্রোহীরা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে সিরিয়ান রিফিউজিদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। পরে তাদের সেখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে তার সরকার। কিন্তু ইতিমধ্যে তুরষ্ক ও তার বাইরে এই অভিযানের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছেন নেটিজেনরা। তারা তুরষ্কের এই অভিযানকে সিরিয়ার স্বাধীন ভূখন্ডে অনধিকার প্রবেশ হিসেবে দেখছেন।
সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে।এদিকে তুরষ্কের পুলিশ তুর্কি নেটিজেনদের আটকের ব্যাপারে জানায়, সন্ত্রাসবাদী গুজব ছড়ানোর দায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্টদাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এ পর্যন্ত ১২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অনেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছে। এর আগেও ২০১৮ সালে সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন কুর্দিপন্থী তুর্কি সাংসদ ও সাংবাদিকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল তুরষ্কে।