নারীদের দালালদের হাতে তুলে দিলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

লেপা রাকিব/লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

বিদেশে পাঠানোর জন্য নারীদের দালালদের হাতে তুলে দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দালালের খপ্পরে পড়ে কেউ যাতে বিদেশ না যায় সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীদের যেন দালালদের খপ্পরে পড়তে না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর কেউ দালালদের হাতে তুলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আগের আমলে মেয়েদের লেখাপড়ার বিষয়ে অভিভাবকদের অনীহা ছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা-মা মনে করতেন মেয়েদের এতো পড়াশুনা করিয়ে কি হবে। দুইদিন পর তাদের বিয়ে হয়ে যাবে খামাখা টাকা নষ্ট করে পড়াশোনা করানোর চেয়ে টাকাটা জমাই বিয়ে দেওয়ার জন্য। একটা সময় এমন মানসিকতা আমাদের সমাজে ছিল।’

‘সেই চিন্তাভাবনা দূর করার জন্য আমরা মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। কর্মসংস্থান হওয়ার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি। যারা মায়ের দুধ শিশুদের পান করায় তাদের জন্য আমরা ভাতার ব্যবস্থা করেছি।’-যোগ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পথ দেখিয়েছিলেন বলে অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নারীদের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অবহেলিত জনগোষ্ঠির উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। নারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের ভাতা চালু করেছে বর্তমান সরকার। অবহেলিত নারীদেরও সহায়তা করা হচ্ছে। যাতে করে স্বামীর ওপর চিকিৎসার জন্য নির্ভর করতে না হয়, বাড়ির কাছেই চিকিৎসা নেওয়া যায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গার্মেন্টের নারী শ্রমিকদের জন্য ফেনী ও চট্টগ্রামে আমরা হোস্টেল এবং ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করে দিয়েছি। ঢাকায় মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটা হোস্টেল করে দেওয়া হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে গ্রামে অনেক মেয়ে রয়েছে যারা ভালো হাতের কাজ করতে পারে। তারা যেন সরাসরি তাদের কাজগুলো করতে পারে সেজন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন নামে একটা ফাউন্ডেশন গড়ে দিয়েছি।

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন সেবা পায় সেজন্য আমরা সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। কিন্তু বিএনপি এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ তাদের ধারণা ছিল এটা যদি চালু থাকে এইসব মানুষগুলো তাদের ভোট দেবে না।

এরপর মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *