বাংলাদেশ ২০৪০ সাল নাগাদ ধূমপান মুক্ত হবে : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার তামাক সেবন বন্ধে নানা ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাই ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ ধূমপান মুক্ত হবে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে তামাক বিরোধী একটি সভায় বক্তব্যদান কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ধীরে ধীরে ধূমপায়ীদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। আমি আশা করছি যে দেশ ২০৪০ সাল নাগাদ তামাক মুক্ত হবে।’
প্রজ্ঞা (প্রবৃদ্ধির জন্য জ্ঞান) ও আত্মা (এন্টি টোবাকো মিডিয়া অ্যালাইয়েন্স) যৌথভাবে ‘টোবাকো ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারফেয়ারেন্স ইনডেক্স: দ্য এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ ইম্পিমেন্টেশন রিপোর্ট, বাংলাদেশ ২০১৯’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
এ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ‘প্রজ্ঞা টোবাকো কন্ট্রোল জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি।

ড. হাছান বলেন, গত দশ বছরে ধূমপায়ীর সংখ্যা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। তামাক সেবনের বিরুদ্ধে দেশে অনেক আইন আছে। তাই, তামাক সেবনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে আমাদের ব্যাপক প্রচারণা চালানো উচিৎ।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি তার বাবার কাছে জীবনেও ধূমপান না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাই তিনি ধূমপান করেন না।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান ই-সিগারেট নিষিদ্ধের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্যের উপর এর বিরূপ প্রভাবের কথা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি এ ব্যাপারে আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে ই-সিগারেট আমদানী নিষিদ্ধ করা উচিত। ই-সিগারেট আমদানীকারকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ড.হাছান বলেন, ‘ভারত ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে। আমরাও এটা করতে পারি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই ই-সিগারেটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির কারণে ১৮ বছরের বেশি ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩৫% হ্রাস পেয়েছে। এক দশক আগে ধূমপায়ীর হার প্রায় দ্বিগুণ ছিল।
সাবের হোসেন বলেন, ‘একটি উন্নত জাতি গঠনের জন্য প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। আর সরকার এক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে।’
এর আগে, শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদন করার জন্য প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার তিনজন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়।
সাংবাদিকরা হলেন- বাংলানিউজ২৪.কম এর এস এম শরিফুল ইসলাম সুমন, দৈনিক প্রথম আলোর সুহাদা আফরিন ও সময় টেলিভিশনের মামুন আব্দুল্লাহ।
ড. হাছান মাহমুদ তাদের হাতে পুরস্কার, সনদ ও চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জিজিটিসি থামাসাত ইউনিভার্সিটি, থাইল্যান্ড এর গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি’র প্রধান ড. মেরি আসুন্তা, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, গ্লোবাল হেল্থ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. রুহুল কুদ্দুস।
প্রজ্ঞা হেড অব টোবাকো কন্ট্রল মো. হাসাব শাহরিয়ার ও আত্মা আহ্বায়ক মুর্তোজা হায়দার লিটন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। আত্মার সমন্বয়ক নাদিয়া কিরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *