শোষণ ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য—স্পীকার
সাইয়্যেদ মো: রবিন/লিগ্যাল ভয়েসটোয়েন্টিফোর :
ঢাকা, ৪ নভেম্বর, ২০১৯ খ্রিঃ
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার আদর্শ,নীতি ও চেতনার প্রতিফলনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধান। আর এ সংবিধানই হচ্ছে রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড। এসময় তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংবিধানকে সমুন্নত রাখার আহবান জানান।
তিনি আজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আইন সহায়ক কমিটি আয়োজিত বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ৪৮ তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও ১৯৭২ এর সংবিধান শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্পীকার বাহাত্তরের সংবিধানকে বিশ্বের অন্যতম সংবিধান উল্লেখ করে বলেন, ৪ নভেম্বর ঐতিহাসিক ও গৌরবজ্জ্বল দিন। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে রাষ্ট্রীয় চারনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সন্নিবেশিত করেছিলেন।
তিনি বলেন,জনগণের মুক্তি ও অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আপোষহীন থেকে আমৃত্যু লড়াই সংগ্রাম করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত না করে অসীম সাহসিতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা ও সংবিধান।
তিনি আরও বলেন,জাতির পিতা ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে বহু কালজয়ী বক্তব্য রেখেছেন। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর ১৯৭২-এর ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গ্রহণের প্রাক্কালে প্রদত্ত ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন,ভাষণটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সব ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধনই বঙ্গবন্ধুর মূল রাজনৈতিক দর্শন। এসময় তিনি সংবিধানের প্রস্তাবনার সাথে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের নিবিড় সংযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল সূচকে উন্নয়নের রোলমডেল। এসময় তিনি বলেন, সংবিধান তখনই সার্থক হবে যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটির সভাপতি এডভোকেট খোন্দকার আবদুল মান্নান, ঢাকা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট গাজী শাহ আলম,একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল। সূচনা বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।