মিজান ও রাজীবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

শাহ্ সাকিব /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবীবুর রহমান মিজান এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ তাদের দুজনের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়। চলমান শুদ্ধি অভিযানে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন এই দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

দায়ের করা মামলায় মিজানের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজীবের বিরুদ্ধে সেই অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৫ টাকা। তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ।

কাউন্সিলর মিজান স্থানীয়ভাবে পাগলা মিজান হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে মোহাম্মদপুর এলাকায় জনপ্রতিনিধিত্ব করছিলেন। তবে স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১১ অক্টোবর র‌্যাবের একটি দল শ্রীমঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব জানায়, তিনি ভারতের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে অস্ত্র ও অবৈধ অর্থ পাওয়া যায়। এসময় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

চাঁদাবাজি, জমি দখল, অস্ত্রের মুখে নামমাত্র দামে জমি কিনে নেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীবের বিরুদ্ধে। গণমাধ্যমে এসব খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গত ১৯ অক্টোবর র‌্যাবের হাতে আটক হন এই কাউন্সিলর। এসময় তার অফিসে অস্ত্র ও মদ পাওয়া যায়। অস্ত্র ও মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় ১৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন কাউন্সিলর রাজীব।

দুই কাউন্সিলর গ্রেপ্তার থাকায় অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে ঢাকা উত্তরের ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড। নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে অস্থায়ীভাবে এই দুই ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্শবর্তী ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতনকে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *