রংপুর এক্সপ্রেসে তিন বগিতে আগুন
আলাউদ্দিন /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ জন নিহতের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুর্ঘটনায় পড়ল ট্রেন। গতকাল বেলা ২টা ১০ মিনিটে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্টেশন পার হওয়ার সময় লাইনচ্যুত হয় রংপুর এক্সপ্রেসের সাতটি বগি। এতে আগুন ধরে যায় ইঞ্জিনসহ সামনের তিনটি বগিতে। দুর্ঘটনায় ট্রেনচালকসহ (লোকোমাস্টার) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার কারণে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। দুটি বগি পাবনা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের উপরে পড়ায় প্রায় ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সড়ক যোগাযোগও। পরে বগি দুটি সরিয়ে পাবনা-সিরাজগঞ্জের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তেলের ট্যাংক ফেটে গিয়ে পাওয়ার কার ও ইঞ্জিনে আগুন লাগে। এরপর ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় ও জোনাল পর্যায়ে দুটি ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনায় ট্রেনটির ইঞ্জিন, খাবার গাড়ি ও একটি এসি কেবিন উল্টে গেছে। এছাড়াও একটি এসি চেয়ার কোচ, দুটি পাওয়ার কার ও একটি শোভন চেয়ার কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেনটি উদ্ধারে গতকাল বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে ঈশ্বরদী থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে রওনা হয়। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) সৈয়দ ফারুক আহমদ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদও।
অন্যদিকে রেলওয়ের আরেকটি সূত্র বলছে, ভুল সিগন্যালিংয়ের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। রংপুর এক্সপ্রেস মিটার গেজ ট্রেন। ভুল সিগন্যালের কারণে এটি ব্রড গেজ লাইনে চলে যায়। এর পরপরই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয় বলে দাবি করছে ওই সূত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেস উল্লাপাড়া স্টেশনে ঢোকার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে ট্রেনটির কয়েকটি বগি বাম দিকে হেলে পড়ে। এরপর দু-তিনটি বগি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।