শুরু থেকেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজছে চীন

কূটনীতিক প্রতিবেদক/লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রোববার বলেছেন, অঞ্চলটিতে সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই চীন এর সমাধান খুঁজছে।
চীনের ইউনান প্রদেশের সহায়তায় চীনের একটি মেডিকেল দল গঠন উপলক্ষে চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয়দের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিতে দলটিকে কক্সবাজার পাঠানো হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নির্ভরযোগ্য বন্ধু এবং প্রতিবেশী হিসেবে চীন প্রথম দিন থেকেই এই সংকটের সমাধান খুঁজে চলেছে।’

দূত বলেন, চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের তিনটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং সংশ্লিষ্ট দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মধ্যস্থতা ও তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিই এ ক্ষেত্রে চীনের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার প্রমাণ।

জিমিং বলেন, অতি সম্প্রতি চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নিউইয়র্কে বলেন যে বাংলাদেশ সরকার ও দেশটির জনগণের বোঝা কমাতে চীন কক্সবাজারে একটি মেডিকেল দল ও দাতব্য সংস্থা পাঠাবে।

তিনি বলেন, ‘দলের সদস্যরা ইতোমধ্যেই সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং মানুষের সহায়তার তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।’

চীনের ইউনান প্রদেশের পার্টি সেক্রেটারি চেন হাও দলটিকে পতাকা প্রদান করেন এবং দলটিকে ঘোষণা করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত আশা করেন যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো আগামী দিনগুলোতে এই দলকে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ‘আসুন, বাস্তুচ্যুত এই মানুষদের যত দ্রুত সম্ভব তাদের দেশে ফিরে যেতে ও কষ্ট লাঘবে এক সাথে কাজ করি।’
প্রথম দলটি এক মাস কক্সবাজারে অবস্থান করবে। এরপর নতুন একটি মেডিকেল দল তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে।

চীনের মেডিকেল দলের নেতা পিপল’স হসপিটাল অব ইউনানের সিনিয়র কনসালটেন্ট লি বো বলেন, তাদের চিকিৎসকরা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে শান্তির দূত হিসেবে স্থানীয় মানুষকে স্বার্থহীনভাবে সেবা করবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে চীনের মহাসচিব শি জিনপিংয়ের আদর্শকে ধারণ করে আছে। আর তা হলো কোন কষ্টকেই ভয় না পেয়ে মিশনের প্রতি আত্মনিবেদিত হওয়া। পাশাপাশি অসীম ভালবাসা দিয়ে অসুস্থ ও আহতদের সেবা এবং তাদেরকে দুঃখ কষ্ট থেকে পরিত্রাণ দেয়া।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান, ইউনান প্রদেশের উপ মহাসচিব ইয়াং হংবো, ইউনান প্রদেশের বৈদেশিক বিষয়ক দপ্তরের মহাপরিচালক মে পু হং, ইউনান প্রদেশের বাণিজ্যিক দপ্তরের উপ-মহাপরিচালক ইউ শুকুন, চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ইউনান শাখার সভাপতি হং ঝেনগুয়া এবং পার্টনার্স ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি)’র নির্বাহী পরিচালক অ্যাডনেনে বেন হাজ আইসা।
বাংলাদেশের কক্সবাজারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *