প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে : তথ্যমন্ত্রী
গোঁফরান চৌধুরী /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেটিকে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সাজিয়েছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার আমার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু এমন সুন্দর প্রকৃতির শোভা পৃথিবীর খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে।
হাছান মাহমুদ আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এলামনাইয়ের এই মিলনমেলার মতো ভবিষ্যতে যাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিলন মেলার আয়োজন করা হয় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চেনা মুখগুলো বহু বছর দেখিনি, তাদের সাথে দেখা হলো আজ।
তিনি বলেন, ইচ্ছে করে আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই জীবনে ফিরে যেতে। যেই বালুকণায় ঘিরে আমাদের স্মৃতি, যেখানে আমরা সময় কাটিয়েছি সেই দিনগুলোতে ফেরত যেতে ইচ্ছে করে। এই অসাধারণ আয়োজনের জন্য যারা কষ্ট করেছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আমি প্রধানত চট্টগ্রাম শহরে থাকতাম। মাঝে মধ্যে আবাসিক হলেও থাকতাম। পরীক্ষার আগে বিশেষ করে হলে কয়েক মাস থাকতাম। ট্রেনে করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতাম। আমার ট্রেনের সহপাঠিরা অনেকেই আজকে এলামনাইয়ে এসেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ট্রেনে গলা ছেড়ে গান আমিও গাইতাম। আমার সেই বন্ধুরা এখানে অনেকেই আছে। তারা সবাই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাই তাদের নাম বলছিনা। গলা ছেড়ে গান গাইতো সেটি বললে তারা লজ্জাও পেতে পারেন। তবে আমিও গান গাইতাম। সেই যে গলা ছেড়ে গান গাওয়া আমার ইচ্ছে হয় যদি আবার সেই বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলেয়ে গান গাইতে গাইতে যেতে পারতাম। এটা হবে কিনা জানিনা কখনো। তবে এটি যদি করতে পারতাম খুব ভালো লাগতো।
সবার জন্য সুন্দর জীবন ও সমৃদ্ধি কামনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সবাই মিলে আমরা আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবো। সেটাই হোক সকলের প্রত্যাশা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীন আখতার, এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলমসহ বিপুলসংখ্যক প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।