ডিজিটাল সেন্টার নাগরিক সেবা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখছে- স্পীকার

স্টাফ রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো (ইউডিসি) ব্যাপক ভূমিকা রাখছে- ইউডিসিগুলো ওয়ান স্টম সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কাজ করছে, যেখানে এক ছাদের নিচে সরকারী নানাবিধ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণ স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে জন্মসনদ প্রাপ্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ফলাফল প্রাপ্তি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে নিবন্ধনসহ নানাবিধ সেবা গ্রহণ করতে পারছে। ইউডিসিগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চল নাগরিক সেবা প্রদানের হাব হিসেবে গড়ে উঠছে।

তিনি আজ সিঙ্গাপুরে নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সমন্বিত পাবলিক সার্ভিস সেন্টার সফরকালে এসকল কথা বলেন।

আওয়ার টেমপাইনস হাব (ওটিএইচ) নামে প্রতিষ্ঠিত এ সেন্টার সফরকালে সেন্টারের পক্ষ থেকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপনায় জানানো হয়, টেমপাইনস এলাকার দুই লক্ষ ষাট হাজার বাসিন্দাদের সরকারী বেসরকারী প্রায় সকল সেবা আওয়ার টেমপাইনস হাব থেকে প্রদান করা হচ্ছে।

বাসিন্দাদের প্রতিনিধিদের ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই সেন্টারটির ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। সরকারী বেসরকারী সেবা প্রদানের পাশাপাশি এখানে বিনোদন, স্বাস্থ্য, শরীর চর্চা, খেলাধুলা, কেনাকাটা, পাঠাগারসহ প্রয়োজনী প্রায় সকল সুবিধা রয়েছে। নাগরিক কেন্দ্রিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এই কেন্দ্রে অবকাঠামো ও সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও গণ-মালিকানা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। ফলে কেন্দ্রটি দক্ষতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে।

স্পীকার বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রোগামে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইউডিসিগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ কেন্দ্রগুলো ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে মানুষের জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দময় করে তুলছে। এলাকা স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করছে। সরকারী সেবার পাশাপাশি কিছু বেসরকারী সেবাও এসব কেন্দ্র থেকে প্রদান করা হচ্ছে। এসব ইউডিসি সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে সফল মাইলস্টোন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তিনি বলেন, ইউডিসি ক্রমান্বয়ে কমিউনিটির মিলনক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। ইউডিসিগুলোকে কেন্দ্র করে বিনোদন, স্বাস্থ্য, খেলাধূলা, কেনাকাটা ইত্যাদি ক্রমান্বয়ে গড়ে উঠছে। আওয়ার টেমপাইনস হাব এর মতোই এসব ইউডিসি গড়ে উঠবে বলে স্পীকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ইউডিসিগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের কারিগরি সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে। ওটিএইচ এর পক্ষ থেকে জানানো হয় ভবিষ্যতে প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত কারিগরি সহযোগিতা তারা প্রদান করবে।

আওয়ার টেমপাইনস হাব সফরকালে অন্যান্যদের মধ্যে ন্যাশনাল ইউভারসিটি অব সিঙ্গাপুরের ইজিএল সেন্টারের ডিরেক্টর অশোক কুমার ও ইজিএল কর্মকর্তা দেবাশীষ তরফদার উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *