পর্দা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম, দুদকের মামলা দায়ের
ফমেকে পর্দাসহ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম, দুদকের মামলা দায়ের
স্টাফ রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের আইসিইউ এর বহুল আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কারিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। ফরিদপুরের দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল মামলাটি রেকর্ড করেন। পরে দুদকের পক্ষ থেকে মামলার সকল তথ্য সম্বলিত একটি ফাইল ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কার্যালয়ে জমা দেন।
মামলার ৬ আসামিরা হলেন, অনিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।
আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে প্রাক্কলনব্যতিত উচ্চ মূল্যে হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগ করা হয়। দণ্ডবিধির ধারা ৪০৯/৫১১/১০৯, দণ্ডবিধির তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ মামলা করা হয়।
জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় তদন্ত করতে দুদককে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। এ জন্য ৬ মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এরপর হাসপাতালটির আইসিইউর পর্দা ও যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মেসার্স অনিক ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাজারমূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক দাম দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক। অনুসন্ধান টিমের প্রধান দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম। অন্য সদস্যরা হলেন উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান ও শহিদুর রহমান। অনুসন্ধান শেষে আজ এ মামলাটি দায়ের করা হলো।
দুদক ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, দুদক প্রধান কার্যালয়ের একটি টিম এই বিষয়টি অনুসন্ধান করে। আজ হেড অফিসের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা করলে আমরা তা রেকর্ড করেছি। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আইনী প্রক্রিয়া চলবে।