ঢাবির পাঁচ শিক্ষক ও দুই কর্মচারি চাকরিচ্যুত
ঢাবি প্রতিনিধি / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ছুটি শেষে চাকরিতে যোগ না দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত কাজে জড়িত থাকায় দুই কর্মচারীকেও চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য।
চাকরিচ্যুত করা দুই কর্মচারীর মধ্যে একজন প্রকৌশলী দপ্তরের পিয়ন কাম গার্ড অজিত চন্দ্র ভৌমিক, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ছিলো এবং অন্যজন পরিবহন দপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অমান্য করে অফিসে অনিয়মিত থাকার অভিযোগ ছিলো।
ছুটি শেষে কাজে যোগ না দেয়ায় চাকরিচ্যুত করা পাঁচ শিক্ষক হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানোয়ার উদ্দীন আহমেদ, ফিনান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুল কবির, অ্যাকাউন্টটিং ইনফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ আসমা জাহান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. সোহেল শামসুজ্জামান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের প্রভাষক আয়েশা জামান।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখ সিন্ডিকেট সভায় ছুটি শেষে স্ব স্ব চাকরিতে যোগদান না করার কারণে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাফিস জামান শুভ ও ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আহসানুল আকবরকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যলয়ের নিয়ম না মানলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা উচিত নয় মন্তব্য করে এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, যে সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তারা ছুটি নিয়ে বিদেশ গিয়েছিলেন। কিন্তু ছুটি শেষে তারা আর ফিরে আসেনি। আমরা তাদেরকে বারবার ফিরে আসতে বলেছি, তারা আসেনি। তাই তাদের পাঁচজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আর শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজ করায় দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পরবর্তী বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।