সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৮তম বৈঠক অনুষ্ঠিত

সিনিয়র রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০১৯, একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৮তম বৈঠক কমিটির সভাপতি মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী-এর সভাপতিত্বে আজ জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আব্দুস শহীদ, মোঃ আফছারুল আমীন, মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, মোঃ জাহিদুর রহমান উক্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০১১-১২ অর্থ বছরের হিসাব সম্পর্কিত বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল-এর বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১২-১৩ এ অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির উপর আলোচনা হয়।

অনুমোদিত ডিজাইন অনুসরণ না করে সম্পাদিত কাজের বিপরীতে মোট ১২,৫১,৮৩,১৭৫ টাকা ব্যয়ে সুফল না পাওয়া।

যৌথ পরিদর্শন, ছাড়পত্র গ্রহণ এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত কমিটির সামনে ডাম্পিং কাজ সম্পাদন ছাড়াই ঠিকাদারকে অনিয়মিতভাবে ২৩,৮২,৬২,৮৪৫টাক পরিশোধ, যথাযথ যাচাই/পরীক্ষা ব্যতীত অনিয়মিতভাবে দরপত্র গ্রহণ এবং ১৬৬,০৫,৯৪,৪৪৩টাকা পরিশোধ, ননরেসপনসিভ/বাতিলযোগ্য হওয়া সত্বেও যোগসাজশের মাধ্যমে অনিয়মিতভাবে ২,০৬,৮৬,২৪৩টাকার দরপত্র গ্রহণ, জরুরী পরিস্থিতি ব্যতীত এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে ডিপিএম এর মাধ্যমে অনিয়মিত ব্যয় ১,১৮,৩৪,১৩৯টাকা।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ভ্যাট বাবদ কম কর্তন ও কর্তন না করায় ১,১০,৫৩,৬৩০ টাকা ক্ষতি, কর্তনকৃত ভ্যাট যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে জমা না করায় সুদ বাবদ আদায়যোগ্য ৬,২৮,৪৩৯টাকা এবং ভ্যাট বাবদ ৩,৯৪,৫৩,৫৫৫টাকা সহ মোট ৪,০০,৮১,৯৯৪ টাকা সরকারি কোষাগারে এখনো জমার হয়নি।

পিপিআর-২০০৮ এর প্রবিধান লংঘনপূর্বক সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে (LTM) দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে অনিয়মিতভাবে ৯৬,২১,০০০টাকা ব্যয়, পারফরম্যান্স সিকিউরিটি বাজেয়াপ্ত করতঃ সরকারি কোষাগারে জমা না করা ও ঠিকাদার অসমাপ্ত কাজ ফেলে গেলেও পারফরম্যান্স সিকিউরিটি বাজেয়াপ্ত না করায় আর্থিক ক্ষতি ৪৪,৪৫,১১৩ টাকা।

প্রাক্কলন ও কার্য সমাপ্তির সনদ ব্যতিত ড্রেজার মেরামত করায় অনিয়মিত ব্যয় ১,০৫,৯৮,৭৫১টাকা, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সুদাসলে বকেয়া আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ৩৯,৪০,৭২৯টাকা ক্ষতি– সংক্রান্ত অডিট আপত্তির উপর বৈঠকে সাক্ষ্য গ্রহণ, প্রশ্ন-উত্তর ও জেরা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

চারটি আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *