১১৯৭ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
শাহাদাৎ হোসেন / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
ভূয়া কোম্পানির নাম দিয়ে এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
সোমবার বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরের মাহতাব সেন্টার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম জানান।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- দিদারুল আলম টিটু ও কবির হোসেন। ‘মেসার্স এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি’, ‘হেনান আনহুই এগ্রো এলসি’ এবং ‘হেব্রা ব্রাঙ্কো’ নামে তিনটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে তারা এই জালিয়াতি করেছেন বলে শুল্ক গোয়েন্দাদের ভাষ্য।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সহিদুল ইসলাম বলেন, ওই তিন কোম্পানির নামে পোল্ট্রি ফিড মেশিনারিজ আমদানির মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আসামিরা বিপুল পরিমাণ মদ, সিগারেট, ফটোকপিয়ার মেশিন আমদানি করে। এর আড়ালে তারা এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে গত ৭ নভেম্বর মেসার্স এগ্রোবিডি অ্যান্ড জেপির বিরুদ্ধে পল্টন থানায় নয়টি মামলা করে। একই দিনে হেনান আনহুই এগ্রো এলসিরে নামে পল্টন থানায় আরও ৬টি মামল করা হয়।
এরপর ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে হেব্রা ব্রাঙ্কো নামের কোম্পানির বিরুদ্ধে একই থানায় আরও ৭টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ নভেম্বর।
এরপর মিথ্যা ঘোষণায় ১২ কন্টেইনারে মদ, সিগারেট ও ফটোকপিয়ার মেশিন আমদানির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি এবং ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে ২৭ নভেম্বর পল্টন থানায় আরেকটি মামলা করা হয়।
এছাড়া আসামি কবির হোসেনের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে চট্টগ্রামের বন্দর থানায় একটি মামলা হয় বলে জানান সহিদুল।
তিনি বলেন, মামলার সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ওই তিন কোম্পানির কোনো অস্তিত্ব নেই।
আসামিরা ওই তিন কোম্পানির নামে পোল্ট্রি ফিড মেশিনারিজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে ১২১টি কন্টেইনার আনে।