তদবির বাণিজ্য ও এ সম্পর্কিত দুর্নীতি রোধে লটারির মাধ্যমে বদলী – ভূমিমন্ত্রী
ফারহানা হক / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
(ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি বলেছেন তদবির বাণিজ্য ও এ সম্পর্কিত দুর্নীতি রোধ করে ভূমি সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে লটারির মাধ্যমে পদায়ন ও বদলী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়-এর আওতাধীন ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেটেলমেন্ট বিভাগের সার্ভেয়ার ও সমমানের পদ (৩য় শ্রেণি) থেকে কানুনগো/ উপ সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (২য় শ্রেণি) পদে ৫৪৮ জন পদোন্নতিপ্রাপ্ত গণকর্মচারীর পদোন্নতি পরবর্তী পদায়ন/বদলী লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করার কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি এ কথা বলেন। এ সময় ভূমি সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি কোন কোন জায়গা থেকে অভিযোগ শোনা গেলে আমি এ প্রক্রিয়ায় নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্তদের বদলী করতে বলি। আমরা এমন কিছু করতে চাচ্ছি যেন পদায়ন, বদলী ও অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় প্রশ্নাতীত স্বচ্ছতা থাকে। অনেক সময় এমন যায়গা থেকে তদবির আসে যে আমাদের বিব্রত হতে হয়। সেজন্য আমি সচিব সাহেব কে এ নির্দেশ প্রদান করি।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী আশা ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতের জন্যে একটি পাথেয় সৃষ্টি হচ্ছে আজ। আজকে একটা স্ট্যান্ডার্ড সৃষ্টি হল। আমরা একটি সিস্টেম ডেভেলপ করতে চাচ্ছি। বিভাগীয় অভিযোগে যাদের সাজা হয়েছে তাদের পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হয়নি –তিনি বলেন।
উপস্থিত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন নিয়োগ বিধি তৈরি করছি। এ বিধি অনুসারে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পদবীর প্রায় ৭,০০০ নতুন ভূমি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া, পিএসসির মাধ্যমে নন-ক্যাডার কানুনগো নিয়োগ করার চিন্তাও করছি।
আরেকটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোন কর্মক্ষেত্রে কোন সরকারি কর্মচারী পোস্টিং হলে সাধারণত আশা করা হয় তিনি কমপক্ষে ৩ বছর সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। সুতরাং, আজকে যারা বদলী হয়েছেন, তাঁদের কর্মজীবনের পরবর্তী বদলী বিধি মোতাবেক হবে।
ভূমি সচিব বলেন, সবাই নিজ সুবিধা অনুযায়ী বদলী হতে চায়। দেখা যায়, একই যায়গার জন্য অনেকে তদবির করেন। আবার বদলীর জন্য অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনে করার জন্যেও অনেকে উপায় খোঁজেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনেক সময় বিব্রত বোধ করে।
প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মন্ত্রী স্বচ্ছ বাক্স হতে দৈবচয়নের মাধ্যমে তথা লটারির মাধ্যমে দশজন নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্ত গণকর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা তুলে এ বদলী কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর ভূমি সচিব বাকি পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যক্তির কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা স্বচ্ছ বাক্স থেকে লটারির মাধ্যমে তুলে একে একে সবার বদলী ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত সচিব (মাঠ-প্রশাসন) প্রদীপ কুমার দাস সহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।