মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ছাত্রলীগ : প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব আন্দোলন সংগ্রামেই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রাণ দিতে হয়েছে ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মীকে। দেশের প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তা ও আদর্শ সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে ছাত্রলীগ যেমন ভূমিকা পালন করেছে, তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে শনিবার বিকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ক্ষমতা ধরে রাখার হাতিয়ার হিসেবে যারা ছাত্রদের ব্যবহার করেছে, সেই জিয়াউর রহমান ও এরশাদের মতো খালেদা জিয়াও সুস্থ রাজনৈতিক ধারা নষ্ট করেছে। এমনই অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২র শিক্ষা কমিশন আন্দোলন ও শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, ৬৬র ৬ দফা-বাঙালির স্বায়ত্তশাসন, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, ৭১ এ স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বকে (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সম্পাদক) ভারমুক্ত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ২০২০ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজ থেকে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সেক্রেটারি ভারমুক্ত হয়ে তাদের দায়ীত্ব পালন করবেন।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলীয় সভাপতিতে স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানায়। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ শুভ দিন-ছাত্রলীগের জন্মদিন’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা উদ্যান।
এসময় উত্তরীয় পরিয়ে শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এরপর দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। দুপুর হওয়ার আগেই সংগঠনটির সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীদের মিলনমেলায় রূপ নেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপমহাদেশের বৃহৎ এ ছাত্র সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে সংগঠনটির নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তা ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামে কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাষা আন্দোলন ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্রসংগঠনটি।