‘শয়তান আমেরিকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবে’: অস্ত্র হাতে সোলাইমানির মেয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান নিহত কাসেম সোলাইমানির মেয়ে জেইনাব বলেছেন, আল্লাহর শপথ মহাশয়তান আমেরিকার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাব। তিনি আজ শুক্রবার তার বাবার জন্মশহর কেরমানে জুমার নামাজের খুতবার আগে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রথা অনুযায়ী এ সময় তার বাম হাতে অস্ত্র ছিল। ইরানে জুমার নামাজে ভাষণ ও খুতবার সময় পাশে একটি রাইফেল রাখা হয়। সাধারণত বক্তব্য দেওয়ার সময় বক্তা এমনকি খতিব নিজেও রাইফেলটি এক হাত দিয়ে ধরে রাখেন।

জেইনাব সোলাইমানি তার বাবার প্রতি কোটি কোটি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান।

জেইনাব বলেন, তার বাবাকে হত্যা করে আমেরিকা সবচেয়ে বড় বোকামি করেছে। কারণ এর ফলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও ইসলামি প্রতিরোধ সংগ্রাম দুর্বল হয়নি বরং গোটা বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষ ও যুবসমাজ জেগে উঠেছে এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য আরও জোরদার হয়েছে।

এছাড়া তিনি বলেন, আমার বাবা কাসেম সোলাইমানি গোটা বিশ্বকে আবারও দেখিয়ে গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শয়তান।

এক সোলাইমানির শাহাদাতের পর হাজার হাজার সোলাইমানি প্রতিশোধ নিতে হোয়াইট হাউসের দিকে যেতে প্রস্তুত বলে তিনি জানান।

এদিকে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি কবে, কোথায় হামলা চালাতো তা সঠিকভাবে জানতো না আমেরিকা। তবে সোলাইমানি আসন্ন হামলার পরিকল্পনা সত্য ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ কথা বলেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার মাইক পম্পেও ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাসেম সোলাইমানি শিগগিরই এক ভয়াবহ হামলা চালাতে পারেন এমন পরিকল্পনা করেছিলেন, এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমরা সঠিকভাবে জানতাম না সেটা কবে কোথায় চালানো হত, কিন্তু সেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা সত্য ছিল।

গত ৩ জানুয়ারি মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হন ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এনিয়ে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইতিমধ্যে ইরাকে দুই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। আল জাজিরা, ইন্ডিপেনডেন্ট, পার্স টুডে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *