দেশের স্বাস্থ্য খাত পাঁচ বছরে স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডা. সবুজ হায়াত / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত আগামী পাঁচ বছরে স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যেভাবে দেশের আনাচে-কানাচে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাচ্ছে, তেমনিভাবে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ নিয়োগের মাধ্যমে হাসপাতালের সেবা বহুগুণ বাড়ানো হবে। মানুষের স্বাস্থ্য ব্যয় কমানো হবে। যার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য খাত স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে।

বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের ৮৮টি উপজেলায় একযোগে ১০৩টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অ্যাম্বুলেন্স বিতরণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৭ সালে ৯৮টি, ২০১৮ সালে ১১৩টি এবং ২০১৯ সালে ১০৩টি অ্যাম্বুলেন্স দেশের ৮৮টি উপজেলায় বিতরণ করা হল। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এতগুলো অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, অল্পদিনের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। নতুন চিকিৎসকদের গ্রামে পদায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে গ্রামের চিকিৎসাসেবা আরও উন্নত হয় এবং ঢাকায় চাপ কমে। নতুন করে ১৫ হাজার নার্স ও মিডওয়াইফ নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অ্যাম্বুলেন্স বিতরণকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জয়পুরহাট-১ আসনের সামছুল আলম দুলু, জামালপুর-৫ আসনের ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, রাজশাহীর ফজলে হোসেন বাদশা, সিলেট-৩-এর মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১-এর কাজিম উদ্দিন, রাঙ্গামাটির দিপঙ্কর তালুকদার, যশোরের রণজিৎ কুমার রায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২-এর আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-২ আসনের শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সংরক্ষিত নারী আসনের উম্মে ফাতিমা শিউলি, টাঙ্গাইল-৪-এর আমিনুল ইসলাম টিটু, বগুড়া ৪ আসনের মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৭ আসনের রেজাউল করিম বাবুল, টাঙ্গাইল-২ আসনের ছোট মনির এবং খাগড়াছড়ির কুজেন্দ লাল ত্রিপুরা নিজ নিজ এলাকার পক্ষে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি বুঝে নেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম, সিবিএইচসির লাইন ডিরেক্টর ডা. মহদেব চন্দ্র রাজবংশী প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *