পুঁজিবাজার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা
সিনিয়র রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
দেশের চলমান পুঁজিবাজারের ধস ঠেকাতে এবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে। বাজারের উন্নয়নে ইতিমধ্যে ৬টি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ পদক্ষেপের কথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই বৈঠক থেকে পুঁজিবাজারের এই অবস্থার উত্তরণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাসহ এসব নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও নতুন করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজার উন্নয়নে সর্বোচ্চ সক্রিয় ভূমিকা রাখবে মার্চেন্ট ব্যাংক। এছাড়া কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা এসেছে। সরকারি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে সরকারি এসব পদক্ষেপে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার মূল্যসূচক ও বাজারমূলধন বেড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে বড় বিপর্যয় হয়েছে। এতে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম তলানিতে নেমে এসেছে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসায় সরকারের নির্ধারণী মহল থেকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুঁজিবাজারকে গতিশীল ও উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ অচিরেই বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওইসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানো। মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়। সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
নির্দেশনায় আরও রয়েছে, দেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা ও দেশীয় বাজারে আস্থা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাজারে মানসম্পন্ন আইপিও বাড়াতে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা চিহ্নিত করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভাবিয়ে তুলেছে। ফলে বিএসইসির সুপারিশের ভিত্তিতে এসব পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে।