লিবিয়া নিয়ে বিশ্বনেতাদের সিদ্ধান্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
দীর্ঘ সময় ধরে লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। এবার সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছেন বিশ্বনেতারা। গৃহযুদ্ধে অবৈধ বিদেশি হস্তক্ষেপের ইতি টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
লিবিয়ার শান্তি ফেরাতে রোববার (১৯ জানুয়ারি) জার্মানির বার্লিনে আন্তর্জাতিক লিবিয়া সম্মেলন শুরু হয়। যুদ্ধরত পক্ষগুলোর ওপর অস্ত্র ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ কথার বলেছেন নেতারা।
সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা জার্মানির চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মার্কেল।
লিবিয়ার যুদ্ধরত দুই পক্ষসহ এতে যোগ দেয় ১০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেন, সংকট সমাধান করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিস্তৃত একটি পরিকল্পনায় আমরা একমত হয়েছি। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে সবাই সম্মান করবে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠোরভাবে তা মেনে চলবে। অসামরিক উপায়ই লিবিয়া সংকটের একমাত্র উপায়; এতে সবাই একমত। এই একাত্মাই এ সম্মেলনের অন্যতম অর্জন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, লিবিয়া ইস্যুতে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর ভিন্নি ভিন্ন মত রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি জোরদার করার বিষয়ে সবাই একমত। সংঘাত নয়, রাজনৈতিক উপায়ে সংকট নিরসন করতে হবে-বিবদমান পক্ষগুলোও আজকে তা স্বীকার করে নিয়েছে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লিবিয়ার জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ সারাজ এবং বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারও। সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে স্বেছায় পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালনের ঘোষণা দেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ কোন্তে।
সম্মেলনে লিবিয়ার অর্থনীতি পুনর্গঠনের বিষয়েও সবাই সম্মত হয় বলে জানায় রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, সম্মেলন আয়োজনের শুরু থেকেই মস্কো ছিল। আমরা চেয়েছি বিবদমান পক্ষগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দেশগুলোকেও এতে সংযুক্ত করতে। আমরা তা পেরেছি। ১২ই জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছে রাশিয়া ও তুরস্ক। কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে। আশা করি আজ থেকে সবাই লিবিয়ার সার্বিক উন্নয়নে মনোযোগ দেবে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ভবনে যখন রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছে, তখন বাইরে অবস্থান নেন বহু লিবীয় নাগরিক। এসময় সংঘাত বন্ধ করে শান্তি, স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।