চীনে আটকে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
সিনিয়র রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে আটকা পড়া ৪ শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চীনের উহান প্রদেশে আটকে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে চাইবেন তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও জানা তিনি।
স্ট্যাটাসে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা চীন সরকারের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছি। কী প্রক্রিয়ায় এটি করা হবে তা বাস্তবতার নিরীখে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সম্মতির ভিত্তিতে করা হবে।’
বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাই সরকারের মূল লক্ষ্য এবং এজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এ বিষয়ে সোমবার দিনের শেষে একটি প্রাথমিক নির্দেশনা জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন শাহরিয়ার আলম। ওই নির্দেশনার মূল উদ্দেশ্য থাকবে চীন থেকে দেশে ফিরতে আগ্রহীদের তালিকা প্রণয়ন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস নামক নতুন রহস্যময় একটি ভাইরাসের সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা চীনের আরও বেশ কিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
সার্স এবং মার্স ভাইরাসের লক্ষণের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত চীনেই অন্তত ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অসুস্থ ৩ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে ৩শ’ রোগীর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই উহান প্রদেশের। এ ছাড়া চীনজুড়ে নতুন করে আরও ৭৬৯১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে আরও প্রায় ৬ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে তারা সন্দেহ করছেন। এ ছাড়া প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চীন ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ ১১টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। চলমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে বসবাসরত বা ভ্রমণরত বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু রয়েছে। হটলাইনের নম্বর: ৮৬-১৭৮০১১১৬০০৫।
প্রসঙ্গত, ২০০২ -২০০৩ সালে চীনে সার্স (সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় প্রায় ৮০০ জন মারা গিয়েছিলেন। করনো ভাইরাস নিয়েও সেরকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।