হাতিরঝিল-রামপুরা সেতুসহ ৯ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন

সিনিয়র রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) ভিত্তিতে হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য গৃহীত সহায়ক প্রকল্পসহ মোট ৯ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারি সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে ৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, একনেকে অনুমোদন পাওয়া ৯ প্রকল্পের মধ্যে ৮টি নতুন প্রকল্প এবং একটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের সহায়ক প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ২০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর পুরোটাই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

তিনি জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, শহরের যানজট নিরসন ও পরিবহন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হাতিঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে।

আজ অনুমোদিত সহায়ক প্রকল্পের মাধ্যমে পিপিপির ভিত্তিতে মূল প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণসহ ডিজাইন ও তদারকি পরামর্শক সেবার কাজ সম্পাদন করা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে, একনেক সভায় মোংলা বন্দরের জেটিতে ৯ দশমিক ৫ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা অর্জন করার লক্ষ্যে ৭৯৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রকল্পের আওতায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দরে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ করা হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর পানিকে সর্বোচ্চ ব্যবহার উপযোগি রাখতে প্রয়োজনীয় ড্রেজিং করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো- রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রকল্প, এর খরচ ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ভান্ডাল জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প, যার খরচ হবে ৯৫৮ কোটি ৮৫ কোটি টাকা এবং নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৭ কোটি টাকা। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার আওতাধীন সুরমা নদীর ডান তীরে অবস্থিত দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, লক্ষীবাউর ও বেতুরা এলাকায় নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, এর খরচ ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

একনেক সভায় মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, সচিব ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহন করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *