মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে ‘ই জুডিসিয়ারি’ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাইজেশন করার লক্ষ্যে চার বছর মেয়াদী ‘ই জুডিসিয়ারি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ২ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।
আজ সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সংসদকে আরো জানান, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিচারিক কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে ৬ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ৩৭ জন বিচারপতি এবং অধস্তন আদালতে মোট ৭৬৮ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ কার্যক্রমের পাশাপাশি ৮৮৬টি নতুন পদ সৃজনের কাজ চলছে। ৪৪টি নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সৃজন করে বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে এবং ১৪তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে আরো ১০০ জন বিচারক নিয়োগ করা হবে।
এছাড়া ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল সৃজন করা হয়েছে। শিগগিরই উক্ত ট্রাইব্যুনাল সমূহে বিচারক নিয়োগ করা হবে। গাজীপুর ও রংপুরে চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সৃজনের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সরকার দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি এবং মামলা সংখ্যা কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৯৫৫টি মামলা নিষ্পতি করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ২৫ জন বিচারককে জাপান ও চীনে ৩৯৬জন বিচারককে ভারতে এবং ৩২৭জনকে দেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে মন্ত্রী সংসদকে জানান।
জাসদের সংসদ সদস্য বেগম শিরিন আখতারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জেলা সদরে অবস্থিত উপজেলা আদালত উপজেলা সদরে স্থানান্তরের কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে আইন ও বিচার মন্ত্রী সংসদকে জানান।