উচ্চমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছে ওয়ালটন
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর ধারাবাহিকতায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) অনুমোদিত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ফর্মুলা অনুসারে ৭৫ শতাংশ আইসো প্রোপানল (আইপিএ) দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেইফ ইনস্ট্যান্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার’। সারাদেশে ওয়ালটনের বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি। পিওর হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসাবে এরইমধ্যে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এর আগে বিভিন্ন চিকিৎসা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করেছে ওয়ালটন। যার মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন সরবরাহকারী যন্ত্র বা ভেন্টিলেটর, মেডিকার্ট রোবট এবং জীবাণুনাশক রিমোর্ট কন্ট্রোল ইউভি-সি সিস্টেম। এছাড়াও পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই)-এর সম্পূর্ণতার জন্য অত্যাবশকীয় সরঞ্জাম ফেস শিল্ড এবং সেফটি গগলস উৎপাদন ও সরবরাহ করছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাইসা সিগমা হিমা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা এবং মানসম্পন্ন পণ্যের অভাব মেটাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়ালটন। ‘সেইফ ইনস্ট্যান্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ আন্তর্জাতিকমানের। বিশেষ করে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবার উচিত সঠিকমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
তিনি জানান, সেইফ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাংলাদেশ সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত ফর্মূলা অনুসারে প্রস্তুত। এছাড়া বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) পরীক্ষিত।
ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর বিপণন বিভাগের ইনচার্জ মোয়াম্মের মোবারক জানান, লেমন ফ্লেভারের নতুন এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি চলতি বছরের ১ মে বাজারে ছাড়া হয়েছে। এটি ৯৯.৯৯ শতাংশ পর্যন্ত জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম। বাজারে আসার পর থেকেই সেইফ ইনস্ট্যান্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজারের প্রতি ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া মিলছে। ভিন্ন ফিচারে নতুন মোড়কে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ওয়ালটনের।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী সব ধরনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন। এর অংশ হিসাবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পিপিই সরবরাহ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রোটেকটিভ স্যুট, মেডিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস শিল্ড, গগলস, হেড কভার, স্যু-কভার ইত্যাদি।
এছাড়া করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।