ভূরুঙ্গামারীর মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ

আসাদুজ্জামান খোকন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম : ভূরুঙ্গামারীতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের শিক্ষক ও সুপারভাইজারগনের সম্মানী ভাতা প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, প্রকল্পের শিক্ষক ও সুপারভাইজারদের তিন মাসের সম্মানীর ৫০ শতাংশ ৩ হাজার ৬শ’ টাকা প্রদান করার কথা থাকলেও তাদেরকে ৩ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার ইউএনও কার্যালয় থেকে ২শ’ শিক্ষক ও সুপারভাইজারকে এই সম্মানী প্রদান করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা, গেছে ভ্যাট বাবদ প্রত্যেক জনের সম্মানীর ১০ শতাংশ ৩৬০ টাকা কেটে নেয়া হলেও তাদের সম্মানীর অবশিষ্ট্য ২৪০ টাকার কোন হদিস নাই। এ ঘটনায় শিক্ষক ও সুপারভাইজারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষে সুপারভাইজার আব্দুর রাজ্জাক, মনিরুজ্জামান, সোয়াইব হোসেন সহ ৬ জন ছিন্ন মুকুল বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম নির্বাহী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে শিক্ষকদের তিন মাসের মোট সম্মানী ভাতা প্রদান করার সময়েও ভ্যাট ছাড়াও অতিরিক্ত ১হাজার ৪শ’ ৬০টাকা (৫টি ইউনিয়নের ২০০ জন শিক্ষকের) অতিরিক্ত কেটে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিলে অবশিষ্ট ৪ শ’ জন শিক্ষকের ৪৬০ টাকা কেটে রাখা হয়েছিল। অপর দিকে প্রকল্পের ৪ মাসের ঘড় ভাড়া (৩০০ টি কেন্দ্রের) ৬ লাখ টাকা এখন পর্যন্ত পরিশোধ না করায় ঘর মালিকরা শিক্ষকদের চাপ প্রয়োগ করছে।

বাস্তবায়নকারী সংস্থা ছিন্ন মুকুল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক দিলরুবা বেগম ঝুমা জানান, বেতন বিল প্রদানের সময় তাদের প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি থাকার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারনে প্রতিনিধিকে ডাকা হয় না। তিনি বলেন, টাকা কম দেয়ার বিষয় সর্ম্পকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা কেন কম দেয়া হলো এবিষয়ে তদন্ত করা হবে।

প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর আনিছুর রহমান জানান, ৩০ জনকে ভ্যাট কেটে টাকা প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষকদের গোলযোগের কারণে অবশিষ্ট শিক্ষকদের টাকা বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলাম জানান, তিনি এব্যাপারে জানেন না এবং কোন অভিযোগও পাননি। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: