বিসিএস এর উদ্যোগে ‘ক্লাউডের সাথে ক্রমবর্ধমান ব্যবসা’ বিষয়ক প্রশিক্ষন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
ঢাকা : বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘গ্রোয়িং বিজনেস উইথ ক্লাউড: ভার্চুয়ালি অ্যান্ড গ্লোবালি’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে।
২৫ জুলাই (শনিবার) রাতে অনলাইনে এই প্রশিক্ষন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষন কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রযুক্তির রুপ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। পরিবর্তনশীল হালনাগাদ তথ্যপ্রযু্ক্তির নিত্যনতুন ব্যবহার ব্যবসার ধরণে নতুনত্ব আনছে। ফাইলের স্তুপ ছেড়ে আমরা হার্ডডিস্ক, এসএসডিতে ডাটা সংরক্ষণ করেছি। এখন ক্লাউডেই সব ডাটা নিরাপদে রাখা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান প্রদানের জন্য ক্লাউড হবে অন্যতম হাতিয়ার। ক্লাউডের উপর এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বিসিএস সদস্যদের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করবে।
বিসিএস যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস এর সলিউশন আর্কিটেকচার বিভাগের লিডার এবং ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মাহদি-উজ জামান। অনলাইনে প্রায় দুই শতাধিক বিসিএস সদস্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি বিসিএস এর ফেসবুক পেজে প্রচারিত হয়। এসময় প্রায় ১ হাজার দর্শনার্থী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপভোগ করেন।
‘ক্লাউডের সাথে ক্রমবর্ধমান ব্যবসা’ সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিয়ে মোহাম্মদ মাহদি-উজ জামান বলেন, ক্লাউডের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনার খরচ বাঁচাতেও ক্লাউডের ভূমিকা অপরিসীম। ক্লাউডের অন্যতম সুবিধা হলো এখানে গ্রাহকরা শুধু দেশীয় নন। বৈশ্বিক এই ব্যবসায় গ্রাহকরা যেকোন স্থানে বসেই সেবার চাহিদা দিতে পারবেন। সংকটময় করোনাকালীন সময়ে আমরা জুম অ্যাপের কথা বলতে পারি। জুম কত দ্রুত এই সময়টাতে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং এই জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাবে। জুম মিটিং এ ব্যাকগ্রাউন্ড স্ক্রিন নিয়েও ক্লাউডে কাজ করা যায়। ক্লাউড হলো ‘তাৎক্ষণিক ব্যবসা’ করার অন্যতম স্থান।
গ্লোবাল ভিলেজ বলতে আসলেই আমরা ডিজিটালি খুব কাছাকাছি অবস্থান করছি। আমেরিকায় বসেও আমরা এখন জুম মিটিং এ সবাই একসাথে কথা বলতে পারছি। ক্লাউড ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করে মাহদি-উজ জামান বলেন, ভারতের শিক্ষকরা এখন ভারতে বসেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। কোন না কোনভাবে আমরা সবাই ক্লাউডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ক্লাউডে কাজ করতে অনেক বেশি দক্ষতা প্রয়োজন হয় এমনটা নয়। ন্যুনতম দক্ষতা দিয়েও ক্লাউডে কাজ করা যায়। ক্লাউডে কাজ করতে অতিরিক্ত কোন হার্ডওয়্যারের দরকার হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ক্লাউড ব্যবসায় নিজেদের সম্পৃক্ত করার এখনি সময়।
দেড় ঘণ্টার সেশনে তিনি ‘ক্লাউডের সাথে ক্রমবর্ধমান ব্যবসা’ সম্পর্কে দর্শনার্থীদের একটি স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে বিসিএস এর প্রাক্তন সভাপতি এস এম ইকবাল, বিসিএস এর উপদেষ্টা শাফকাত হায়দারসহ অন্যান্যরা মতামত ব্যক্ত করেন। টেকজুমডটটিভির সৌজন্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচীটি বিসিএস ফেসবুকে সম্প্রচারিত হয়।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ