ভুরুঙ্গামারীতে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা
মো. আরিফুল ইসলাম, ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম : ভুরুংগামারী উপজেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা অর্ধশত অতিক্রম করলো। গত ১৭/০৮/২০২০ তারিখে নমুনা দাতাদের মধ্যে আজ আরও ৩ জন পজিটিভ হওয়ায় শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫২ জন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্য কর্মী (আন্ধারীঝাড়), একজন ওষুধ বিক্রেতা (ভূরুঙ্গামারী সদর) এবং অপর জন ওষুধের দোকানের কর্মচারী (চর ভূরুঙ্গামারী)। আক্রান্ত ব্যক্তিরা নমুনা প্রদানের দিন থেকেই আইসোলেশনে আছেন, বর্তমানে উপসর্গ বিহীন। শনাক্তদের বাড়ি এবং ওষুধের দোকানটি লক ডাউন অবস্থায় আছে।
বার বার সচেতন করার পরেও মাস্ক পড়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়ে জন সাধারণের আগ্রহ না থাকায় এখন গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এ উপজেলায় করোনা ভাইরাসের অধিকতর বিস্তার রোধে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে সর্ব শ্রেণীর মানুষ কে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ২২ আগস্ট জানান, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ জন। এক মাসের ব্যবধানে উপজেলায় কোভিট-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। সামাজিক দূরুত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি না মানা, মাস্ক না পড়া এবং অসচেতনতার কারণে করোনা রোগী বাড়ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীগণ। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোটা উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। এখন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪ জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৩ জন, ভুরুঙ্গামারী থানার এক পুলিশ সদস্য ও বেসরকারি ব্যাংকের দুটি শাখায় কর্মরত ৬ জন সহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, এখন পর্যন্ত উপজেলায় করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৮০ জনের, ফলাফল এসেছে ৩৫৮ জনের, সনাক্ত হয়েছে ৫২ জনের শরীরে। আর সুস্থ হয়েছে ৩৬ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কোভিড-১৯ শনাক্তের পর চিকিৎসা প্রদান শেষে কোভিড আক্রান্তদের বাড়ি বিধি মোতাবেক লক ডাউন করা হয়েছে। তিনি উপজেলা বাসীকে পরামর্শ দিয়ে বলেন আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ