রুমায় ইঁদুর বন্যা: পাহাড়ে হাজারো জুমচাষী দিশেহারা

অংবাচিং মারমা, রুমা প্রতিনিধি :

বান্দরবান : রুমা উপজেলা আদিবাসীদের জুমক্ষেতে ভয়াবহ রকমে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে, এতে প্রায় উপজেলার হাজারো জুমচাষী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চাষীদের জুমের ধান খেয়ে সাবাড় করছে হাজার হাজার ইঁদুর।

রুমা উপজেলা পাইন্দু ইউনিয়ন ও রুমা সদর ইউনিয়নসহ কয়েকজন জুমচাষীর জুমে গিয়ে দেখা যায় ক্ষেতের একটি ধানের শীষও আর আস্ত নাই, সব খেয়ে শেষ করে আবার জুমে হানা দিয়েছে ইঁদুরের ঝাঁক।

রুমা উপজেলা প্রতিটি গ্রামে ইঁদুরের উপদ্রপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিবাসী জুমচাষীরা ৷

মুয়ালপি মারমা পাড়া জুমচাষী আবুমং মারমা, মেঃখং মারমা বলেন, ধান সহ সাথী ফসল ভুট্টা এবং অন্যান্য ফসল খেয়ে ফেলায় খাদ্য সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রুমা সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জনমনি ত্রিপুরা, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ক্লাংওয়াই ম্রো বললেন, আমার ওয়ার্ডে ও কয়েকটি পাড়াতে ইঁদুর আক্রমণে জুমখেতের চাষীদের এই বছরে খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে বলে জানিয়েছেন।

পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার অংসাপ্রু মারমা বলেন, অনাবৃষ্টির ফলে এমনিতেই জুমে ধানের ফলন অত্যন্ত খারাপ, তার মধ্যে ইঁদুরের আক্রমণ হওয়ায় পাহাড়ে এবার খাদ্য সংকট দেখা দেবে। পাহাড়ের বৃহৎ জনগোষ্ঠী জুমচাষের উপর নির্ভরশীল বিধায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

মুয়ালপি ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাওন বলেন, রুমা উপজেলা হাজারো জুমক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জনাব মোঃ ইউসুফ বলেন, ইতিমধ্যে আক্রমণ হয়ে যাওয়া জুমের জন্য করার মত আর কিছু নাই। তবে যে সমস্ত জুমে আক্রমণ হয়নি সে সমস্ত জুমে আক্রমণ প্রতিহতের জন্য চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলো জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, কত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো বলতে পারছিনা বলে জানান।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: