লামায় তামাক চাষের বিকল্প বীজ পেল ৯৩ কৃষক

মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

বান্দরবান : তামাক চাষ কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট এবং কৃষক ও কৃষকের পরিবারের স্বাস্থ্য হানিসহ আশেপাশের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। এদিক চিন্তা করে দেশের আবাদি জমি রক্ষা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের বিকল্প ফসল উৎপাদনে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ করে চলেছে বেসরকারী সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশের এগ্রো ইকোলজি প্রকল্প-২।

এ ধারাবাহিকতায় প্রকল্পটির উদ্যোগে উপজেলার ৯৩জন উপকারভোগী প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে তামাকে বিকল্প আগামী শীতকালীন সবজি চাষের জন্য বিনামূল্যে ৩০৪ কেজি বীজ প্রদান করা হয়।

সোমবার দুপুরে প্রকল্পের উপজেলা কার্যালয়ে এসব বীজ প্রদান উদ্ভোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার। কৃষকদের দেয়া হয়-লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মুলা, টমেটো, লাল শাক, পালং শাক, ধনিয়া, রসূন, পরাশ শীম ও বাদামের বীজ। এছাড়া পরিবেশ রক্ষা করে জমির পোকা দমনের জন্য কৃষকদের হলুদ কার্ড, ফেরমন ও রসূন দ্রবণও প্রদান করা হয়। এ সময় প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা মো. মামুন সিকদার, মাঠ সহায়ক প্রিয়াংকা ত্রিপুরা, রিন্টু চাকমা ও নিরতা, হিউম্যানটারিয়ান ফাউন্ডেশনের মাঠ সহায়ক বীর সিংহ চাক্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে রুপসীপাড়া ইউনিয়নের উথোয়াই বাঙ্গালী পাড়ার উপকারভোগী কৃষক ইমরান বিশ্বাস, সাথুই মার্মা ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হিমছড়ি পাড়ার কৃষক আবু তাহের এক সূরে জানান, না বুঝে এক সময় আমরা জমিতে তামাক চাষ করতাম। এগ্রো ইকোলজি প্রকল্প-২ এর কর্মকর্তারা উদ্বুদ্ধ করণে বুঝতে পারলাম; তামাক চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া গেলেও স্বাস্থ্যহানি ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই তামাক ছেড়ে এখন সবজি চাষ করছি।

বীজ প্রদানকালে নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, উপজেলায় কৃষি জমির একটি বড় অংশে মাটি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তামাক চাষ হয়। এসকল জমিতে খাদ্য শস্য চাষ করা হলে তা উপজেলার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও উদ্বৃত্ত খাদ্য দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বিক্রির মাধ্যমে কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। তাই এসব জীব যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের ফসল উৎপাদনের জন্য আহবান জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা জাবেদ কায়সার।

বীজ প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে এগ্রো ইকোলজি প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা মো. মামুন সিকদার বলেন, আগামী ১৫ দিন পর এ প্যাকেজের আওতায় ৯৩ কৃষকের মাঝে ২ হাজার ৬০০ কেজি আলু বীজও প্রদান করা হবে।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: