নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার প্রত্যয় অপোর
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক :
ঢাকা : অপো’র বার্ষিক ইভেন্ট ‘অপো ইনো ডে ২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল চীন থেকে লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টে ‘এমপাওয়ারিং এ বেটার ফিউচার’ স্লোগান নিয়ে অপোর চারটি স্মার্ট উদ্যোগের (স্মার্ট এনটারটেইনমেন্ট, স্মার্ট প্রোডাক্টিভিটি, স্মার্ট হেলথ ও স্মার্ট লার্নিং) আওতায় নিয়ে আসা নতুন উদ্ভাবনগুলো কীভাবে সকলের জীবনমান উন্নত ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করবে, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।
বর্তমানে স্মার্ট হেলথ টেকনোলজির উন্নয়নে জোর দিচ্ছে অপো। এরই অংশ হিসেবে ২০২১ সালে অপো হেলথ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে এবং চলতি বছর অপো একটি নতুন স্মার্ট হেলথ কেয়ার সাব-ব্র্যান্ড ‘ওহেল’ নিয়ে এসেছে।
‘অপো ইনো ডে ২০২২’ চলাকালীন অপোর ওহেলথ ব্র্যান্ডের অধীনে প্রথম পণ্য ওহেলথ এইচওয়ান ফ্যামিলি হেলথ মনিটর উন্মোচন করে। ওহেলথ এইচওয়ান রক্তের অক্সিজেন, ইসিজি, হার্ট ও ফুসফুসের শব্দ সংক্রান্ত তথ্য, হৃদস্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রা এবং ঘুমের ট্র্যাকিংসহ পরিবারের সদস্যদের কল্যাণের জন্য ব্যবহারযোগ্য প্রয়োজনীয় ছয় ধরণের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে। এইসব তথ্য একটি ডিভাইসে পাওয়া যাবে। ওহেলথ এইচওয়ান একটি সুপার-লাইট ডিভাইস। যার ওজন মাত্র ৯৫ গ্রাম এবং ওভাল ডিজাইনের কারণে দেখতে বেশ নান্দনিক।
এছাড়া বার্ষিক ইভেন্টে অপো ডেডিকেটেড ইমেজিং এনপিইউ ব্যবহার করে তৈরি করা নিজেদের দ্বিতীয় চিপ ‘ম্যারিসিলিকন ওয়াই’ ব্লটুথ অডিও এসওসি উন্মোচন করেছে। ম্যারিসিলিকন ওয়াই বাজারের অন্যান্য ব্লুটুথ এসওসি’র তুলনায় ব্লুটুথ ব্যান্ডউইথ প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে সক্ষম। ইউআরএলসি কোডেক প্রযুক্তি এবং ৫৯০ জিওপিএস পর্যন্ত অন-ডিভাইস কম্পিউটিং পাওয়ারসহ ডেডিকেটেড এনপিইউর সাহায্যে ম্যারিসিলিকন ওয়াই ব্লুটুথের মাধ্যমে ২৪-বিট/১৯২কিলোহার্জ আল্ট্রা-ক্লিয়ার অডিও প্রেরণ করতে পারে।
ইভেন্ট চলাকালে অপোর সর্বাধুনিক অ্যাসিস্টেড রিয়েলিটি গ্লাস ‘অপো এয়ার গ্লাস ২’ প্রদর্শন করে। ৩৮ গ্রাম ওজনের অপো এয়ার গ্লাস ২তে রয়েছে অপো উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম রেজিন এসআরজি-ডিফ্র্যাক্টিভ ওয়েভগাইড লেন্স। দৃষ্টিশক্তি ঠিক করতে এবং পরবর্তী কাস্টমাইজেশনের ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে এই লেন্সগুলো। অপো এয়ার গ্লাস ২ এর মাধ্যমে ফোন কল করা, রিয়েল-টাইম ভাষান্তর, লোকেশন-বেইসড (অবস্থান-ভিত্তিক) নেভিগেশন, শ্রবণজনিত সমস্যায় ভুগছে এমন মানুষের জন্য ভয়েসকে টেক্সটে রূপান্তর করা সহ নানান ধরণের স্মার্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা যাবে। অপোর এই গ্লাস মানুষ ও মেশিনের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের সকল ধরণের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সক্ষম।
অনুষ্ঠানে অপো’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ প্রোডাক্ট অফিসার পেতে লাউ বলেন, “বর্তমানে প্রযুক্তি খাত যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা বিশ্বাস করি, সেখান থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে ক্রমাগত উদ্ভাবন। আমাদের ব্র্যান্ড প্রপোজিশন ‘ইনস্পিরেশন এহেড’ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা পণ্য ও প্রযুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সবার জীবনকে উন্নত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা কল্যাণকর উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্ট কানেকটেড অভিজ্ঞতা ও উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বাকি অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি।”
গত কয়েক বছর ধরে অপো একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ কমিউনিটি তৈরি করতে বৈশ্বিক অংশীদারদের সহযোগিতায় নিজস্ব ইকোসিস্টেম নির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। অপো’র ওপেন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৩ লাখের বেশি ডেভেলপার ও ৭ লাখের বেশি ক্রিয়েটর তাদের পণ্য ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অপো কালারওএস হ্যাকাথনের মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে ডেভেলপার ও প্রোগ্রামারদের মধ্যে যোগাযোগকে আরও শক্তিশালী করছে এবং তাদের সহযোগিতা করছে।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ