কুচকাওয়াজ ও প্রদর্শনীতে অনন্য কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এবং কলেজ

মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

বান্দরবান : ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রতিযোগিতায় বান্দরবান জেলা ও লামা উপজেলায় প্রথম এবং চট্টগ্রামে বিশেষ পারদর্শিতা পুরস্কার পাওয়ার গৌরব আবারো অর্জন করেছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী কোয়ান্টারা। শুক্রবার চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও লামা উপজেলায় পৃথক এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ গ্রহণ করেন কোয়ান্টাম স্কুল ও কলেজের চার শতাধিক শিক্ষার্থী।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার আল্ আমিন জানান, শুক্রবার সকালে লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় গ্রুপে প্রথম হওয়ার পাশাপাশি ডিসপ্লেতেও তারা প্রথম হয়। এবারের ডিসপ্লেতে অংশ নেয় কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ১৫৮ জন কোয়ান্টা। বঙ্গবন্ধুর স্মরণে ‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা’ সংগীতের সাথে এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত ডিসপ্লে মুগ্ধ করে হাজারো দর্শককে। এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে কোয়ান্টাদের একটি ব্যান্ড বাদন দল সংক্ষিপ্ত পারফর্মেন্স করে। এতে অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ হয়। তারাও বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন এতে। প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

একই দিন চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আয়োজিত কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের মেয়ে কোয়ান্টারা অংশ নেয়। তাদের বুদ্ধিদীপ্ত প্যারেড নৈপুণ্য মুগ্ধ করেছে স্টেডিয়াম ভর্তি সকল দর্শককে। এজন্যে তারা বিশেষ পারদর্শিতা পুরস্কারে ভূষিত হয়। অপরদিকে বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতায় সিনিয়র গ্রুপে প্রথম হয়। এছাড়াও ‘চলো বাংলাদেশ’ গানের সাথে তাল মিলিয়ে ডিসপ্লে প্রদর্শন করে স্কুলের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ১৬৮জন শিক্ষার্থী। মনোমুগ্ধকর এই ডিসপ্লেতেও তারা পেয়েছে প্রথম স্থান। বরাবরের মতোই অনুষ্ঠান শেষে পুরো স্টেডিয়াম চত্বর পরিষ্কার করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে মাত্র সাত জন মুরং শিশু নিয়ে যাত্রা শুরু করে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। ২০ বছরের পরিক্রমায় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এখন এখানে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে এই স্কুলের রয়েছে শিক্ষা ও ক্রীড়ায় দেশসেরা সাফল্য। ঢাকায় জাতীয় শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজে তারা প্রথম হয়েছে ২০১৫ থেকে টানা পাঁচ বছর। কোয়ান্টারা বুয়েট, মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন বলে জানান, কোয়ান্টামের অর্গানিয়ার আল্ আমিন।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: