তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভরসা ফুটপাতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলো

জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম :

কুড়িগ্রাম : ভূরুঙ্গামারীতে স্বল্প মূল্যে শীতবস্ত্র কিনতে দোকানের সামনে উপচে পড়া ভীড় জমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। রাস্তার পাশের স্বল্প মূল্যের দোকান থেকে শীতবস্ত্র কিনে হাসি মুখে শীত নিবারন করছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

গত কয়েকদিন থেকে তীব্র শীত জেকে বসেছে কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোতে। হাড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশার সাথে মৃদু শৈতপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ গুলো। প্রতিদিন তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হতে হয় তাদের। অন্যদিকে ছিন্নমুল মানুষগুলো গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে বাড়ির বাইরে যেতে পারছেনা। গরম কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ছিন্নমুল থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা ভিড় করছে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে।

রবিবার, ৭ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বাজারের ফুটপাতের পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে নারী-পুরুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতারা ফুটপাত থেকে জ্যাকেট, সোয়েটার, কান টুপি, হাত-পায়ের মোজাসহ নানাধরণের গরম কাপড় কিনছে। বেশীরভাগ ক্রেতা মধ্যবিত্ত তাই লোকলজ্জায় প্রতিবেদকের সাথে তারা কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে।

শীতবস্র কিনতে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ায় শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। এসব দোকানে অল্প টাকায় ভালো ভালো কাপড় পাওয়া যায়। বড় দোকানে কিনতে গেলে হাজার পনেরোশো টাকা লাগে, আর এখানে ২০০ টাকায় মোটা মোটা জ্যাকেট পাওয়া যায়।

পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের কৃষক গোলজার হোসেন বাসস্ট্যান্ডের একটি দোকান থেকে তার সন্তানের জন্য একটি সোয়েটার, মাফলার ও হাতমোজা নিয়ে ফিরছিলেন। তিনি জানান, ছেলের শীতের কাপড় কিনেছেন। আগামী সপ্তাহে বউ ও নিজের জন্য কিনবেন।

পুরাতন কাপড়ের স্তুপ সাজিয়ে বসে আছেন দোকানি রশিদ মিয়া। তিনি বলেন, ক্রেতাদের ভীড় শুরু হয়ে গেছে। আমরাও চাহিদা মতো কাপড় দোকানে তোলার চেষ্টা করছি। বড়দের কাপড়ের পাশাপাশি শিশুদের কাপড়ও বেশ বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা সাগর এবং জাহিদ হাসান বলেন, ফুটপাতে পছন্দের জিনিস অনেক কম দামে পাওয়া যায়, তাই পরিবারের সদস্যদের জন্য গরম কাপড় ফুটপাত থেকে কিনেন। অন্যদিকে ফুটপাতের কম্বল দোকানে অনেককে ভিড় করতে দেখা যায়। বিক্রেতারা বলছেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবার পর থেকে তাদের ব্যবসা ভালো চলছে।

বিক্রেতা মোজাম্মেল হক জানান, গত দুই শীতে ভাল ব্যবসা করতে পারেননি, আর কয়েকদিন এরকম শীত থাকলে এবার ভালো লাভ করবেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, উপজেলায় প্রথম পর্যায় ৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ১০টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: