ভূরুঙ্গামারীতে পান চাষে লাভবান চাষিরা
আবু মুসা,ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম : ভূরুঙ্গামারীতে পান চাষে লাভবান কৃষকেরা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান চাষে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে পান চাষিদের।সারা বছর পানের চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।উপজেলার বারুইটারীতে নতুন করে করা হচ্ছে কয়েকটি পানের বরজ।আমদানিকৃত পানের পাশাপাশি বেশ চাহিদা মেটাচ্ছে স্থানীয় পান চাষিরা।
উপজেলার দুটি অঞ্চলে চাষ করা হয় পান।তবে ব্যস্ত সময় পার করছেন বারুইটারীর পান চাষিরা।কেউ নতুন পানের বরজ তৈরী করতে ব্যস্ত আবার কেউ পুরনো বরজ সংস্কারের কাজে ব্যস্ত।বাঁশ ও বাঁশের শলা এবং জিআই তার দিয়ে মাচা তৈরী করে খড়কুটা ও ছন দিয়ে ছাউনি করে চারপাশ ঘিরে তৈরী করা হচ্ছে পানের বরজ।
বারুইটারীর কয়েকটি পানের বরজে ঘুরে দেখা যায়,উচু ও উর্বর মাটিতে লম্বা খন্ড লাইন তৈরী করে রোপন করা হয় পানের লতি।লতি থেকে হয় পান গাছ।বরজে যেন পানি আটকে না থাকে সেজন্য নালা কেটে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। অতি বৃষ্টি এবং তীব্র শীত থেকে পান গাছকে সুরক্ষিত রাখতে খড়কুটা ও ছন দিয়ে দেয়া হয় ছাউনি।
উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের পান চাষি শ্রী ধীরেন চন্দ্র দাস বলেন,আগে ১৬ শতক জমিতে পান চাষ করতাম,এবার আরো ৮ শতক জমিতে নতুন পানের বরজ করলাম।সপ্তাহে ২দিন পান তুলে হাটে নেই। এখন গড়ে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
একই অঞ্চলের কৃষক শ্রী পরিতষ দত্ত বলেন, ১ বিঘা জমিতে পান চাষ করে সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে সংসার খরচ সহ অনেক কিছু করা সম্ভব।এছাড়া একবার পানের বরজ করলে ১৫-২০ বছরের মধ্যে পানের বরজে হাত দিতে হয় না।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুজন কুমার ভৌমিক বলেন, উপজেলার দুটি অঞ্চলে ৮ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়। পাকৃতিক দূর্যোগে পানের তেমন ক্ষয়ক্ষতি নেই। গোড়া পচা এবং ছত্রাক জনিত রোগ না ধরলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।১ বিঘা জমিতে পান চাষ করলে একজন কৃষক গড়ে প্রতি বছর এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পারে। উপজেলা থেকে পান চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হয়।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ