জায়গা বিরোধে লামায় রাবার কোম্পানি ও ম্রোদের নিষেধাজ্ঞা
মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি
বান্দরবান : জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি ঢেঁকিছড়া আমবাগানস্থ বিরোধপূর্ণ জায়গায় উপর টিন-ছন দিয়ে আবারো ৫টি ঘর নির্মাণ করেছে ম্রো সম্প্রদায়ের লোকজন। গত দুই দিন ধরে এসব ঘর নির্মাণ করেন ম্রোরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় জায়গা পরিমাপ পরিচিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আপাতত উভয় পক্ষকে বিরোধপূর্ণ জায়গায় না যেতে এবং স্থাপনা নির্মাণ বা কোন প্রকারের কাজ না করাসহ নির্মিত ঘরে ম্রোদের না উঠার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
পাড়াবাসীর পক্ষে কাইম্প্রে ম্রো বলনে, প্রশাসনের কত লোক আসল আর গেল, কেউ ত আমাদেরকে জায়গায় ঘর নির্মান বা কাজ করতে নিষেধ করেনি। তাই আমরা ঘর নির্মান করেছি। তারা আরও বলেন, জায়গা পরমিাপ না করে রাবার কোম্পানীর লোকজন যদি বিরোধীয় জায়গায় প্রবেশ করে তাহলে আমরা পাহাড়ের সকল ম্রো সম্প্রদায় প্রধান মন্ত্রীর কাছে যাবো। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাথে ছিলেন-গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানি, লামা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পদাক মো. কামরুজ্জামান ও পুলিশের একটি টিম।
এদিকে নির্মিত ঘরগুলো গত ১ জানুয়ারীর মত গভীর রাতে ম্রোরা আগুনে পুড়িয়ে ও ঘরগুলো ভেঙ্গে দিয়ে রাবার ইন্ড্রস্টির লোকদরে ফাঁসাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজের ম্যানেজার মো. আরিফ হোসেন।
দুই পক্ষকে বিরোধীয় জায়গায় না যেতে নিষেধাজ্ঞার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামি বলেন, লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের মধ্যে পাহাড়ি জায়গা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মিমাংশার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এ বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরেও চিঠি লিখেছেন। আশা করছি, পরিমাপ পরিচিহ্নিত করা গেলে দুই পক্ষের মধ্যে জায়গা নিয়ে আর কোন বিরোধ থাকবেনা।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ