তরুণ ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়নে গবেষণা ও উন্নয়নে জোর দিবে রিয়েলমি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
ঢাকা : তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে আসতে গবেষণা ও উন্নয়নে (আরঅ্যান্ডডি) বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি নিজেদের গবেষণা সম্পর্কিত কার্যক্রম সম্প্রসারিত করবে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি। এ লক্ষ্যপূরণে, চীনের শেনঝেনে প্রতিষ্ঠানটি ‘রিয়েলমি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব লিপ-ফরোয়ার্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক এক আরঅ্যান্ডডি সেন্টার তৈরি করেছে; পাশাপাশি, ভারতে রয়েছে এর বিশেষায়িত শাখা।
নিজেদের নতুন লক্ষ্যপূরণের ধারাবাহিকতায়, রিয়েলমি শীঘ্রই উন্মোচন করবে এর পরবর্তী প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন রিয়েলমি জিটি৩। স্মার্টফোনটিতে থাকবে এ খাতের শীর্ষস্থানীয় ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট-চার্জিং সুবিধা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠাতব্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০২৩ -এ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মার্টফোনটি উন্মোচন করা হবে। ‘রিয়েলমি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব লিপ-ফরোয়ার্ড টেকনোলজি’ সেন্টারে নিবেদিত প্রকৌশলী ও কর্মীদের প্রচেষ্টার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ২৪০ ওয়াটের চার্জিং সুবিধা নিয়ে আসতে পেরেছে রিয়েলমি।
রিয়েলমি’র লক্ষ্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসার মাধ্যমে তরুণ ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখা। এ প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বতি করতে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য উদ্ভাবন ও প্রয়োজনীয় ফিচার নিয়ে আসতে রিয়েলমি চারটি ডিজাইন স্টুডিও স্থাপন করেছে এবং আরঅ্যান্ডডি’তে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে, রিয়েলমি স্পায়ার স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেছে, যা নিশ্চিত করবে প্রত্যিটি নতুন পণ্যে যেনো অন্তত একটি নতুন প্রযুক্তি সংযুক্ত থাকে এবং উন্নত ডিজাইন ও পারফরমেন্সের মাধ্যমে যেনো ব্যবহারকারীরা পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেন আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে, ‘রিয়েলমি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব লিপ-ফরোয়ার্ড টেকনোলজি’র ৬০ জনের বেশি টেকনিক্যাল এক্সপার্ট চার্জিং, ফটোগ্রাফি, ডিসপ্লে, গেমিং, চিপসেট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন – এ ছয়টি ক্ষেত্রে উদ্ভাবন নিয়ে আসতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, রিয়েলমি এর আরঅ্যান্ডডি টিমের সম্প্রসারণ করেছে। এখন রিয়েলমি’র ৬০ শতাংশ কর্মী আরঅ্যান্ডডি নিয়ে কাজ করছেন।
এ নিয়ে রিয়েলমি’র গ্লোবাল রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট ইয়াও কুন বলেন, “উদ্ভাবনের ফলে নতুন প্রযুক্তি উন্মোচনের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে প্রযুক্তিগত রূপান্তর ঘটে। এজন্য আমরা ‘রিয়েলমি গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব লিপ-ফরোয়ার্ড টেকনোলজি’ ব্যাপারে সবাইকে জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত, যা সামনের দিনগুলোতে আমাদের ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে এবং স্মার্টফোন খাতের প্রয়োজন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
গবেষণা ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করছে রিয়েলমি। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে রিয়েলমি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিশ্চিত করা যাবে, যা তাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ