ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে
মৈত্রী ডেস্ক নিউজ :
ঢাকা : ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব সরকারকে নেয়ার দাবি করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ। তারা আজ ২২ জুলাই ২০২৩ বিকাল সাড়ে ৪টায়, পুরানা পল্টন মোড়ে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা, আক্রান্তদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং সারা দেশে রেশনিং-ব্যবস্থা চালুর দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল এই দাবি করেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মোর্চার সমন্বয়ক নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেবনাথ প্রমূখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য মঞ্জুর আলম মিঠু।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতির জটিলতায় মানুষ আতঙ্কিত। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু দেশের প্রায় সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের প্রায় সবকটি শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির খবর ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে বের হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬ হাজার ৬৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৮৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব সরকারকে নেয়া, ডেঙ্গু বিস্তারে জনসচেতনতা গড়ে তোলা ও ঔষুধ ছিটানো কার্যক্রর উদ্যাগে গ্রহণ করার দাবি তোলা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। দফায় দফায় চাল, ডাল, তেল, চিনি, পানি ও গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। এ অবস্থায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতিতে সরকারের কিছু করার নেই। তার এই বক্তব্যের ফলে ব্যবসায়ীরা আরও দাম বাড়াতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, অতিদ্রুত সব ধরনের পণ্যের দাম কমাতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ, সবার জীবনে স্বস্তি আর স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনতে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জোর দাবি করেন।
সমাবেশ শেষে পুরানা পল্টন মোড় থেকে বিজয়নগর সেগুনবাগিচা পর্যন্ত শ্লোগানমুখর মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ