পর্তুগালে চাকরি না পেয়ে বিপাকে অনেক বাংলাদেশি
মো. নুরুজ্জামান সেলিম, পর্তুগাল প্রতিনিধি
বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেখানে অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন থেকে কঠিনতর বিধি নিষেধ আরোপ করছে সেখানে পর্তুগালে অভিবাসীদের জন্য বৈধ হওয়া কিছুটা সহজ হওয়ায় বাংলাদেশিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পর্তুগাল।
এখানে একজন অভিবাসীকে বৈধ হওয়ার জন্য অবশ্যই কোন একটি কোম্পানি থেকে ফুলটাইম কাজ নিতে হবে যেখানে কোম্পানি তাকে আইনগতভাবে কাজের কন্টাক্ট দিবে এবং সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করবে। এরকম ভাবে যখন একজন অভিবাসী একটি কোম্পানির সাথে ১০ থেকে ১৪ মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় কাজ করে তখন সে বৈধ হওয়ার জন্য এদেশে আবেদন করতে পারবে এবং তার বিনিময় সে বৈধ হবে।
বৈধ হওয়ার আশায় বাংলাদেশী সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার অধিবাসীগণ পর্তুগালে আসার কারণে বর্তমানে দেখা দিয়েছে তীব্র কাজের সংকট এ সংকেটের আরো একটি কারণ হিসেবে রয়েছে পর্তুগিজ বাসা সম্পর্কে অদক্ষতা।
এখানে বৈধ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসা এমন অনেক বাংলাদেশী অভিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, বর্তমানে পর্তুগালে শত শত বাংলাদেশী অভিবাসী রয়েছে যারা ১২ থেকে ১৪ মাস পর্যন্ত বেকার তারা রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিভি দেওয়ার পরও কোন কাজ পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় বাসা ভাড়া এবং খাওয়ার টাকা ম্যানেজ করা তাদের জন্য দূরহ হয়ে পড়েছে।
তেমনই একজন বাংলাদেশী অভিবাসী মোহাম্মদ মাহবুব আলম 22 বলেন আমি পর্তুগালের প্রায় আট মাস যাবত বেকার। আমার বাসা ভাড়া প্রায় তিন মাস বাকি পড়েছে এমতা অবস্থায় আমি কি করব তা বুঝতে পারছি না।
পর্তুগাল সরকার দেশটির নাগরিকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরও দেশটির প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর নিবন্ধন অনুসারে বর্তমানে বেকারত্বের হার ৪.৯ শতাংশ।
যদিও ইতি মধ্যেই দেশটির নতুন সরকার অভিবাসীদের পর্তুগালে না আসার ক্ষেত্রে নিরীৎসাহিত করার জন্য একটি নতুন অর্ডিন্যান্স জারি করেছে।