প্রতি লিটারে পাড়ি দিবে ৫৮ কি.মি.

দেশের বাজারে হোন্ডা আনলো ইঞ্জিন কিল সুইচসহ এসপি১৬০

ঢাকা :  এসপি সিরিজে ১৬০ সিসি সেগমেন্টে নতুন একটি মোটর বাইক দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচপিএল)। নতুন এই বাইকটিতে অন বোর্ড ডায়াগনোস্টিক (ওবিডি) রেগুলেশনস, ইঞিন কিল সুইচ (চাবি অন রেখে বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করা) এবং তথ্যসমৃদ্ধ ডিজিটাল স্পিডোমিটার রয়েছে। ‘স্মার্ট পাওয়ার’ এর সংক্ষিপ্ত রুপ এসপি এর এবারের স্লোগান রাইড ইউর প্রাইড। বাইকটির মডেল এসপি১৬০। প্রতি লিটার তেলে বাইকটি সর্বোচ্চ ৫৭ কিলোমিটার(কি.মি.) পথ পাড়ি দিতে সক্ষম।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মোটরবাইকটি প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্রয়ের জন্য ঘোষণা দেন বিএইচপিএল এর বিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা শিগেরো মাৎসুজাকি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) শাহ মোহাম্মদ আশেকুর রহমান এবং প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা হিরোকি ইয়াসোনাগা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা শিগেরো মাৎসুজাকি বলেন, মোটর সাইকেল বাজারে হোন্ডা গ্রাহকদের বিশ্বাস এবং মন জুগিয়েছে। সারাদেশে সাড়ে চার লাখের বেশি গ্রাহক হোন্ডা মোটর বাইক স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ব্যবহার করছেন। মোটর বাইক বাজারের ৪০ শতাংশ ১৫০ সিসি বা তদুর্ধ্ব ক্যাটাগরিতে বিক্রিত বাইক। এই শ্রেণীর মোটর বাইক চালকদের কথা মাথায় রেখেই ফুয়েল সাশ্রয়ী এই বাইকটি আমরা দেশের বাজারে নিয়ে এসেছি। বরাবরের মতো এই মোটর বাইকটিও বাইকার্সদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে বলেই আমরা আশাবাদী।

এসপি ১৬০ বাইকের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে শাহ মোহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, ফুয়েল সাশ্রয়ী, গতির সাথে নিয়ন্ত্রন এবং নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং বৈশিষ্ট্য ও মূল্য অনুসারে সর্বোচ্চ সুবিধার কথা মাথায় রেখে এসপি১৬০ এর ডিজাইন করা হয়েছে। শাইন এসপি এবং এসপি ১২৫ এর উত্তরসূরী হিসেবে এই বাইকটি আমরা দেশের বাজারে নিয়ে এসেছি। ১৬২.৭১ সিসির ৪ স্ট্রোক সমৃদ্ধ বিএস৬ ইঞ্জিনের এই বাইকটি প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন (পিজিএম এফআই) সমৃদ্ধ। ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ৬৫০০ আরপিএম এ ৯.৯ কিলোওয়াট এবং ৫৫০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ টর্ক ১৪.৫৮ এনএম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দুইটি ভ্যারিয়েন্টে বাইকটি দেশের বাজারে পাওয়া যাবে। সিঙ্গেল ডিস্ক এবং এবিএস সমৃদ্ধ ডাবল ডিস্ক। বাইকটিতে সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, এভারেজ মাইলেজ ইন্ডিকেটর, ব্যাটারি ভোল্টেজ ইন্ডিকেটর, এবিএস ইন্ডিকেটর, লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর, সার্ভিস ডিউ ইন্ডিকেটর, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর সমৃদ্ধ ডিজিটাল স্পিডোমিটার রয়েছে। বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নিউ এজ গ্রাফিক্সসহ ডায়নামিক ফুয়েল ট্যাংক, স্পোর্টিয়ার ও আর্কষনীয় এলইডি ডিসি হেডল্যাম্প, সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ সুইচ এবং ইমার্জেন্সি স্টপ ও লো ভিজিবিলিটি পরিস্থিতির জন্য আছে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ফিচার হ্যাজার্ড সুইচ।

অ্যারোডাইনামিক আন্ডার কউল নতুন এসপি ১৬০ বাইকটির স্পোর্টিনেসকে যোগ করেছে। উন্নত গ্রিপ ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পেছন থেকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পেছনে আছে ১৩০মিমি প্রশস্ত পেছনের চাকা। আরামদায়ক সিটিং পজিশন সহ নতুন এসপি ১৬০ বাইকটি রাইডিংয়ে স্মুথ কর্নারিং ও টার্নিং অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এছাড়াও, মনো শক সাসপেনশন মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র বজায় রেখে স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে ও উচ্চতর নিয়ন্ত্রণ (হ্যান্ডলিং) ক্ষমতা প্রদান করে। বাইকটির সিট রাইডার ও পিলিয়ন উভয়ের জন্যই আরামদায়ক। এসপি ১৬০ এর মোটা চাকা এবং হাই গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স যেকোন রাস্তায় চালানো যাবে। ইঞ্জিন বন্ধ করা জন্য রয়েছে ইঞ্জিন স্টপ সুইচ। জরুরি স্টপগুলো ও কুয়াশা বা লো ভিজিবিলিটিতে সুরক্ষা জন্য রয়েছে হ্যাজার্ড সুইচ। এতে ভিসকাস এয়ার ফিল্টার ও মেইনটেনেন্স ফ্রি ব্যাটারি থাকায় বারবার রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন নেই। ইউনিক এলইডি টেল ল্যাম্প-এর কারনে পেছন সাইডের বোল্ড লুক নজর কাড়বেই। আপ-সুইপ্ট ক্রোম মাফলার কভার প্রিমিয়াম লুকে একটি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।

দেশের বাজারে এসপি ১৬০ মডেলটি ২টি ভ্যারিয়েন্ট (সিঙ্গেল ডিস্ক ও ডাবল ডিস্ক এবিএস) এবং ৩টি (লাল, নীল এবং কালো ) রঙে পাওয়া যাবে। সিঙ্গেল ডিস্ক ভ্যারিয়েন্টের মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং ডাবল ডিস্ক এবিএস ভ্যারিয়েন্টে বাইকটির মূল্য ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বাইকটিতে ২ বছর বা ২০ হাজার কি.মি. (যেটা আগে আসে) পর্যন্ত বিক্রয়োত্তর সেবা মিলবে।

 

মৈত্রী/ এএ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *