নিয়ম মেনেই শিক্ষার্থীরা ইভিনিং এমবিএতে ভর্তি হয়েছিল: শিবলি রুবাইয়াতুল ইসলাম

ঢাবি প্রতিনিধি/ লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আট নেতাসহ ৩৪ শিক্ষার্থী নিয়ম মেনেই ‘সান্ধ্যকালীন এমবিএ’ কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শিবলি রুবাইয়াতুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদ্বন্দিতা করেছে তাদের কাউকেও বাহির থেকে এনে ভর্তি করিয়ে ডাকসু নির্বাচন করানো হয়নি। তারা সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাড গ্র্যাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে মাস্টার্স করার প্রস্ততি নিচ্ছিল। ‘পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়ে ডাকসু নেতা’-শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় বাণিজ্য অনুষদের ড. হাবিবুল্লাহ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৮ নেতাসহ ৩৪ শিক্ষার্থীর ভর্তি নিয়ে গত কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ ধরণের বিভ্রান্তিকর সংবাদ জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করতে পারে বলে আমি মনে করি।

ইভিনিং প্রোগ্রাম সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অনুষদে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী আর্থিক অস্বচ্ছলতা, শারীরিক সমস্যা অথবা পরিবারের প্রয়োজনে দিনের বেলায় চাকরিতে যোগদান করে, এতে পরবর্তীতে তাদের আর মাস্টার্স করার সুযোগ হয়ে উঠে না। তারা পরবর্তীতে আমাদের কাছে ইভিনিং প্রোগ্রামে মাস্টার্স করার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। এদের মধ্যে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে দিনের বেলায় চাকরি করা ছাত্রের সংখ্যাই বেশি।

এসময় ডিন বলেন, আমরা চেয়ারম্যানস কমিটি ও অনুষদে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ডে-প্রোগ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ইভিনিং-এ ট্রান্সফার করার বিষয়টি আলোচনা করি। সেই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা; যারা বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা, করপোরেট হাউস ও টেলিকমের কাজ করে বা চাকরির সুযোগ পায়; তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে লেখাপড়া সুযোগ প্রদানের বিষয়ে দেড় বছর আগে অনুষদ সভায় আলাপের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীকে যথাযথভাবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার বিধানটি চালু আছে।

শিবলি রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত পত্রিকার খবরটি পড়লে মনে হয় বাহিরের ছাত্র-ছাত্রীকে ডাকসু নির্বাচন করানোর জন্য বেআইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে, যা একেবারেই সঠিক নয়। এখানে আলোচিত ছাত্র-ছাত্রীরা পূর্বে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ভর্তি হওয়া গ্র্যাজুয়েট। তাই একই বিশ্ববিদ্যালয় আর একবার ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এখানে কোনো প্রকার অনিয়ম করা হয়েছে বা কোনো বহিরাগতকে ডাকসু নির্বাচনের আনা হয়েছে বিষয়টি সঠিক নয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *