অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
হাবিবুর রহমান/লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
আওয়ামী লীগ তৃতীয়বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেক অনুপ্রবেশকারী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেন, ‘তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ঢাকায় অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যে রবিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যাদের ধরা হচ্ছে ধরছে তাদের কেউ কেঁচো বা চুনোপুঁটি নয়। এর পেছনে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত বুধবার যুবলীগ নেতা খালেদ ভূঁইয়া পরিচালিত ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবসহ চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব। এর দুই দিনের মাথায় শুক্রবার ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও ধানমণ্ডি ক্লাবেও অভিযান চালায় র্যাব।
কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে ক্লাব সভাপতি কৃষক লীগ নেতা সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ধানমণ্ডি ক্লাবের বারে কী পরিমাণ মদের মজুদ আছে, সেই হিসাব জমা দিতে বলা হয়।
যাদের ধরা হয়েছে তারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে, এমনকি মন্ত্রী পর্যায়েও ‘কমিশন’ দিয়েছে বলে যে খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত তারা যে কথাগুলি বলেছে, সেগুলো পত্র-পত্রিকায় আমি দুই এক জায়গায় দেখেছি, কিন্তু এ কথাগুলো স্টিল নট ভ্যালিডেটেড। অবশ্যই তাদের সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হবে।’
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পরিচালনায় জুয়ার আসর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উনাদের যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান), উনি তো বড় অজগর সাপ। সব গিলে খেয়ে ফেলে।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দুর্নীতি- সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এজন্য বিএনপির উচিৎ সরকারকে সাধুবাদ জানানো।’
প্রধানমন্ত্রী অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতে তো বিএনপির খুশি হওয়ার কথা, সাধুবাদ দেওয়ার কথা, আর তাদের ব্যর্থতার জন্য লজ্জা পাওয়ার কথা। তাদেরতো এ নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই।