মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আর চেতনা ধারণ করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে : মেয়র নাছির

গোঁফরান চৌধুরী / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

চট্টগ্রাম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, দেশে একটি দল দাবি করে তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

তিনি বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই আছেন যারা ’৭১ এর পরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাদের অনেকেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার জন্য হাসিমুখে জীবন উৎসর্গ করবেন। কিন্তু তারা তো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন। এখানে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই।”

আজ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে ‘বিজয়ের শেষ ৩ দিন, কেমন ছিল চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) চট্টগ্রাম অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচনায় অংশ নেন একাত্তরের ১১ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ হারিছ, এবিএম খালেকুজ্জামান দাদুল, আবু সাঈদ সর্দার, জাহাঙ্গীর চৌধুরী সিইনসি, প্রফেসর মোহাম্মদ মইনউদ্দিন, ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু সিইনসি, রেজাউল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মোজাফফর আহমদ ও মনজুরুল আলম মঞ্জু। সঞ্চালনায় ছিলেন বাসস’র চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কলিম সরওয়ার।

আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই শুধু তারা হত্যা করেনি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করাটাই ছিল তাদের ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়নি। উপরন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা দেশটাকে পাকিস্তানের ভাবধারায় পরিচালিত করেছে। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। অভিন্ন পাকিস্তান থেকে অহেতুক দেশটাকে স্বাধীন করা হয়েছে এমন একটি ধারণা তারা মানুষের মধ্যে তৈরির চেষ্টা করেছিল।

মেয়র বলেন, আমরা অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়েছি, যারা হাসিমুখে জীবন উৎসর্গ করেছেন বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এদের অনেকে এখন জীবন সায়াহ্নে। স্বাধীন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের বীরত্বগাথা হৃদয় দিয়ে বুঝতে হবে। তাদের অবদানে আমরা এ দেশ পেয়েছি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *