বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দিতে জেলা জজদের প্রতি আইনমন্ত্রীর আহ্বান

সাইয়্যেদ মো: রবিন / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

মামলা জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির প্রতি জোর দিতে জেলা জজদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সরকারি আইনী সেবা ও সুশাসন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আজ এসব কথা বলেন।

জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের জেলা জজরা অংশ নেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে মামলা দায়ের করার যে হিরিক। আমি বলবো এটাকে যদি একটা ট্রেন্ড হিসেবে দেখি তাহলে কিন্তু আমরা নিশ্চিত হতে পারি এই মামলা শেষ করা যাবে না। পৃথিবীর কোথাও শেষ করা যায়নি। এটাই বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, যেভাবে মামলা দায়ের হয় সেইভাবে নিষ্পত্তি করা না গেলে মামলা শেষ হবে না।

আনিসুল হক বলেন, আমি আমেরিকাতে গিয়ে দেখেছি, সেখানে ৯০ শতাংশ মামলা কোর্টের বাইরে নিষ্পত্তি হয়। আর ১০ শতাংশ মামলা কোর্টে নিষ্পত্তি হয়। আমাদেরকেও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান মামলাজট হ্রাস করতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো যাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের পাশাপাশি দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৮৯ (এ) ধারায় সংশোধনী এনেছে। যাতে দরিদ্র ও দুস্থ জনগণকে আইনী সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পক্ষগণের মধ্যে থাকা বিরোধসমূহ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে। এজন্য সরকার লিগ্যাল এইডের অফিসারদের এডিআর বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন ও আইনের শাসন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ কারণে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির কাজের গুরুত্ব বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট জেলার বিজ্ঞ জেলা জজবৃন্দকে এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।।

আইনমন্ত্রী জানান, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৪ জনকে সরকারি আইনগত সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। আর ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করা হয়েছে ২৮ কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৬১৫ টাকা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *