ভাঙন রোধে স্থানান্তর নয়, প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ থেকে স্কুল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
আবু মুসা, ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম : জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় পাইকেরছড়া ইউনিয়নে অবস্থিত ২নং সিট পাইকেরছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে পড়ায় স্থানীয় একটি মহল এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে স্কুলটি অন্যত্র স্থানান্তর করতে চায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে ২৬শে আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্কুলের শিক্ষক, শিশু শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপজেলার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন পাইকেরছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব গাজিউর রহমান। তিনি বলেন, ভাঙ্গনরোধে স্থানীয় ব্যক্তি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আমরা সকলে মিলে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করেছি। এলাকার শিক্ষার্থীদের স্কুল বঞ্চিত না করে এবং সহজে স্কুল যাওয়ার সুবিধার্থে উক্ত স্কুলটি যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্ত্রের কারণে অন্যত্র স্থানান্তর করা না হয়। তিনি আরো বলেন, দুধ কোমরের ভাঙনরোধে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন সেখান থেকে অতি দ্রুত যদি স্কুল ও বাজার সংলগ্ন এলাকার নদীর পার গুলোতে বোল্ডার ফেলে ভাঙন রোধ করা যায়, তাহলে শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের জীবন শিক্ষাব্যবস্থা এবং স্কুলটিই রক্ষা পাবে না সেই সাথে রক্ষা পাবে স্থানীয় বাজার সহ গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসতভিটা ও গুরুত্বপূর্ণ সোনাহাট স্থল বন্দর সড়কটিও। কাজেই এই এলাকা থেকে স্কুল স্থানান্তর যাতে কোনো ভাবেই করা না হয় তার জন্য তিনি দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জনাব মঈনুল হোসেন এর সাথে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, প্রকৌশলী সকলে মিলে যে সিদ্ধান্ত নেন বা ভালো হয় সেটি করা উচিত।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুস সামাদ বলেন, স্কুলটি ভাঙ্গা পড়েছে তিনবার শুধুমাত্র নদীর পাড়ে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করলে স্কুলটিও রক্ষা পাবে সাথে রক্ষা পাবে স্কুল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। ইতিমধ্যেই উক্ত স্থানটি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রকৌশলী জনাব ওমর ফারুক পরিদর্শন করেছেন এবং আশু ব্যবস্থা নেবেন বলে তাদেরকে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান শুধু স্কুলটি নয়, দ্রুত ভাঙ্গনের হাত থেকে যদি নদীর পাড়টি রক্ষা করা না যায় তাহলে পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে ভেঙে যেতে পারে উপজেলার স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রধান সড়কটিও।
এ প্রসঙ্গে আরো কথা হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবলু মাঝি, মজিবর রহমান ও আরো কতিপয় ব্যক্তির সাথে, তারাও একই কথা বলেন। পাটেশ্বরী বরকতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব মতিউর রহমান (মতি মাস্টার) বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব বজায় রাখতে যদি কোনো পদক্ষেপ স্থানীয় প্রশাসন গ্রহণ করেন তাহলে তাতে বাধা দেয়ার কিছু নেই।
স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী মিলে ভুরুঙ্গামারী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পূর্বদিকের রাস্তায় বৃষ্টি ভেজা অবস্থায় উক্ত মানববন্ধন পালন করেন। তাদের দাবি, স্কুলটি যাতে স্থানান্তর করা না হয়। বরং সরকারের দেয়া একনেকের বড় আকারের বরাদ্দ থেকে যেন বোল্ডার ফেলে অথবা যে ভাবেই হোক নদীর পাড় টি রক্ষা করা হয়।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ